পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: : সুপার৩০ সিনেমার আদলে তৈরি হয়েছে রহমানি৩০। হৃতিক রোশন অভিনীত সিনেমাতে দেখিয়েছিল সমাজে না খেতে পাওয়া, হত দরিদ্র পড়ুয়ারা কিভাবে সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছে। সেটি একটি রঙিন দুনিয়ার কাহিনি হলেও বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে সেই অসম্ভব কাজটিকে সম্ভব করে তুলছে রহমানি৩০। সমাজে দরিদ্র, পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের ভবিষ্যত সুনিশ্চিত করতে নজির গড়েছে এই কোচিং সেন্টারটি। ২০২৪-এর জি মেনস পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের উল্লেখযোগ্য পাসের হার রেকর্ড গড়েছে।
কোচিং সেন্টার শিক্ষার্থীর সাফল্যের হার ৮৬ শতাংশ। ২০৫ জনের মধ্যে ১৭৬ জন পরীক্ষার্থী সফল হয়েছেন। সেন্টারের জি মেনসের পুরো প্রোগ্রামটি শিক্ষার্থীদের জীবনের পথে চ্যালেঞ্জ নেওয়ার পথে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করার দাবি রাখে। কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৯ জন ৯৯ শতাংশ, ১৩ জন ৯৮ শতাংশ, ১৯ জন ৯৭ শতাংশ, ৭ জন ৯৬ শতাংশ এবং ১৭ জন ৯৫ শতাংশ। সামগ্রিকভাবে, ১৭৬ জন সফল শিক্ষার্থীর মধ্যে ১২৮ জন ৯০ শতাংশের উপরে স্কোর করেছে। অল ইন্ডিয়া র্যা ঙ্ক (বিভাগ) ছিল ৮৯৪ এবং জেনারেল ইন্ডিয়া rank ছিল ৩২৪৭।
মাওলানা মুহাম্মদ ওয়ালী রহমানি পিছিয়ে পড়া মেধাবী মুসলিম শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে এই কোচিং সেন্টারের সূচনা করেন, সেই ধারা আজও অব্যাহত। বর্তমান সময় ২/৭ লক্ষ ফি নেওয়া কোচিংয়ের সামনে রহমানি৩০ একটি চ্যালেঞ্জ। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নয়া দরজা খুলে দিয়েছে এই সেন্টারটি।
প্রাথমিকভাবে, স্বয়ং হযরত মাওলানার এর সহযোগিতায়, রহমানি৩০ জীবনযাত্রার ব্যয়সহ সম্পূর্ণ বৃত্তি প্রদান করে থাকে। আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে কোচিং দেওয়া ছাড়াও খাদ্য ও বাসস্থানের সুযোগ দেওয়া হয়। রহমানি ৩০ এর পৃষ্ঠপোষক ফয়সাল রহমানি বলেছেন, এই সাফল্য আল্লাহ ছাড়া সম্ভব ছিল না। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে ফয়সাল রহমানি এই সেন্টারকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। সিইও জনাব ফাহাদ রহমানি নবম এবং দশম শ্রেণী থেকে শুরু করে একটি নয়া অ্যাকাডেমিক পথ চলার নতুন উদ্যোগ নিয়েছেন। পাশাপাশি আইআইটি, নেট, চার্টাড অ্যাকাউন্টেন্সি বিষয়ে তারা আরও এগিয়ে যেতে চায়। রহমানি৩০ খুলদাবাদ (মহারাষ্ট্র), জেহানাবাদ (বিহার), হায়দ্রাবাদ (তেলেঙ্গানা), ইউপি (আলিগড়) এবং বেঙ্গালুরু(কর্নাটক) কাজ করছে।