পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ম্যাচটা ব্রাজিলের কাছে নিছকই নিয়মরক্ষার ছিল। কিন্তু ক্যামেরুনের কাছে ছিল স্বপ্নপূরণের ম্যাচ। অর্থাৎ জয় বা হার কোনও কিছুতেই ব্রাজিলের কিছু যায় আসত না। কারণ তারা আগেই উঠে বসে আছে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে। কিন্তু প্রি-কোয়ার্টারে উঠতে গেলে ক্যামেরুনকে এই ম্যাচে জিততেই হত। শুধু তাই নয়, সুইৎজারল্যান্ডকে ড্র বা হারতে হত এই ম্যাচে, তবে ক্যামেরুনের শেষ ষোলোয় যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
প্রথম শর্ত পূরণ করে ফেলেছিল ক্যামেরুন নামক আফ্রিকান জায়ান্ট দলটি। কিন্তু অন্য ম্যাচে সার্বিয়াকে হারিয়ে দেওয়ায় সুইৎজারল্যান্ড চলে গেল শেষ ষোলোয়। জিতেও স্বপ্নভঙ্গ ক্যামেরুনের। অন্যদিকে এটাও প্রমাণ হল ব্রাজিলের দ্বিতীয় দল তৈরি নয়। যদিও ব্রাজিল দারুণ ফুটবল উপহার দিয়েছে। অন্যদিকে এই ম্যাচে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে গোল করে নজির গড়েছেন ক্যামেরুন স্ট্রাইকার আবু বকর। তাঁরই গোলে ব্রাজিলকে হারিয়েছে ক্যামেরুন। তৃতীয় কোনও আফ্রিকান ফুটবলার হিসেবে এবং ক্যামেরুনের দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপের মঞ্চে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে গোল করলেন আবু বকর। এর আগে ২০১০ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে আইভরি কোস্ট স্ট্রাইকার দিদিয়ের পগবা ব্রাজিলের বিরুদ্ধে গোল করেছিলেন। ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে সেলেকাওদের বিরুদ্ধে গোল করেছিলেন ক্যামেরুন স্ট্রাইকার জোয়েল মাতিপ। যদিও সেই ম্যাচে ক্যামেরুন হেরেছিল ৪-১ গোলে।
মাতিপের গোল জয় এনে দিতে পারেনি ক্যামেরুনকে। কিন্তু আবু বকরের গোল ব্রাজিলের বিরুদ্ধে জয় এনে দিয়েছে ক্যামেরুনকে। সেদিক থেকে কিছুটা এগিয়ে আবু বকর। আরও একটি নজির গড়েছেন তিনি। ব্রাজিলের বিরুদ্ধে গোল করার পর জামা খুলে ফেলায় ফুটবলের নিয়মেই হলুদ কার্ড দেখেন তিনি। কিন্তু এর আগেই ম্যাচের মধ্যে ফাউল করে একটি হলুদ কার্ড দেখেছিলেন তিনি। তাই দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের কারণে তাঁকে লাল কার্ড দেখান রেফারি।
বিশ্বকাপের আঙিনায় তিনি দ্বিতীয় ফুটবলার যিনি গোল করেও লাল কার্ড দেখে মাঠ থেকে বেরিয়ে যান। এর আগে ২০০৬ সালে জার্মানিতে ইতালির বিরুদ্ধে ম্যাচে মাতারাজ্জিকে গুঁতো মেরে লাল কার্ড দেখেছিলেন ফ্রান্সের জিনেদিন জিদান। লাল কার্ড দেখেও কোনও হেলদোল ছিল না আবু বকরের। বরং লাল কার্ড দেখে রেফারির সঙ্গে হাত মিলিয়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে গেলেন আবু বকর। এমন দৃশ্যও কোনও বিশ্বকাপের আসরে দেখা যায়নি।