পুবের কলম প্রতিবেদক: সদ্য প্রকাশিত হয়েছে মাধ্যমিকের পরীক্ষার রেজাল্ট। ফল প্রকাশের পরই স্কুলগুলি একাদশে ভর্তির প্রক্রিয়াও শুরু করে দিয়েছে। ভর্তির বিষয়ে নির্দেশিকাও জারি করেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। বিজ্ঞান বিভাগে নম্বরের শতাংশ কমানোর পাশাপাশি ছাত্রভর্তির সর্বোচ্চ নম্বর কমিয়েছে সংসদ।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, একাদশে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তিতে আরও জোর দেওয়া হচ্ছে। বিজ্ঞানে পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়াতে নম্বরের উর্দ্ধসীমাও কমানো হয়েছে। এবার থেকে ৩৫ শতাংশ নম্বর পেয়েও বিজ্ঞান বিভাগে পড়া যাবে। বিজ্ঞান বিভাগের ক্ষেত্রে অর্থাৎ পদার্থবিদ্যা, রয়াসন, অঙ্ক ও জীবন বিজ্ঞান, কম্পিউটার সায়েন্স এবং অন্য বিজ্ঞান ভিত্তিক বিষয় নিয়ে পড়াশুনোর ক্ষেত্রে ন্যূনতম নম্বর ৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩৫ শতাংশ করা হয়েছে। এমন সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে, বিপুল সংখ্যক ছাত্রছাত্রীকে ইচ্ছেমতো বিষয়ে পড়াশুনোর সুযোগ করে দিতেই এই ব্যবস্থা। একই সঙ্গে স্কুলের ছাত্রভর্তির উর্দ্ধসীমাও ২৭৫ থেকে বাড়িয়ে ৪০০ করা হয়েছে। স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষকের কথায়, সংসদের এই উদ্যোগ ভালো। তবে বহু স্কুলে বিজ্ঞান বিভাগের পড়াশোনার জন্য অত্যাধুনিক যন্ত্রাংশ নেই। ল্যাবোটারিগুলিও সংস্কার হয় না। ল্যাবগুলি নতুনভাবে সংস্কারের উপর জোর দিতে হবে, সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।
হিন্দু স্কুলের প্রধান শুভ্রজ্যোতি দত্ত জানান, করোনাকালের জন্য বিজ্ঞান বিভাগের নম্বর ৪৫ শতাংশ করা হয়েছিল। তবে আগে ৩৪ শতাংশ নম্বর পেলে বিজ্ঞানে ভর্তি হওয়া যেত। এখন সেটাকে একটু বাড়িয়ে শতাংশ করা হয়েছে। বহু সংখ্যক পরীক্ষার্থী পাশ করছে, তাই নম্বরের হার আগের থেকে একটু বাড়ানো হয়েছে। স্কুলে ছাত্র ভর্তির উর্দ্ধসীমা বাড়ানো হয়েছে। এতে বহু ছাত্রছাত্রী ভর্তিতে সুযোগ পাবে।