ইনামুল হক, বসিরহাট: সুন্দরবনের দুয়ারে সরকার প্রকল্পের ক্যাম্প পরিদর্শন করলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা শাসক শরদ কুমার দ্বিবেদী।এলাকার মানুষদের আরো উন্নত পরিষেবা দেওয়ার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মত গোটা রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে ষষ্ঠ পর্যায়ের দুয়ারে সরকার প্রকল্পের ক্যাম্প। গোটা রাজ্যের পাশাপাশি শনিবার প্রত্যন্ত সুন্দরবন অঞ্চলের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের কালীতলা ও শামশেরনগর এলাকায় হয় দুয়ার সরকার প্রকল্পের ক্যাম্প।
প্রত্যন্ত সুন্দর বন অঞ্চলের এই এলাকায় দুয়ারে সরকার প্রকল্পের ক্যাম্প সঠিকভাবে চলছে কিনা, ক্যাম্পে আসা সাধারণ মানুষরা সমস্ত পরিষেবার সঙ্গে নিযুক্ত হতে পারছে কিনা, যে সমস্ত সরকারি কর্মচারীরা দুয়ারে সরকার প্রকল্পের ক্যাম্প করছেন তাদের কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে শনিবার প্রত্যন্ত সুন্দরবন অঞ্চলের কালীতলা ও শামসেরনগর এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন তিনি।
গাড়ি থামিয়ে পায়ে হেঁটে জঙ্গল পারের মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন, পাশাপাশি বনবিবি থানের কাজ খতিয়ে দেখেন। গত বছর নভেম্বর মাসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বনবিবি থানে গিয়ে বৃক্ষ পুজো করেছিলেন। পাশাপাশি এই থানটিকে একটি পাকা মন্দিরে পরিণত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশমতো আজ বনবিবি মন্দিরে গিয়ে সরজমিনের খতিয়ে দেখেন জেলা শাসক শরদ কুমার দ্বিবেদী। সঙ্গে ছিলেন বসিরহাট মহাকুমা শাসক মৌসম মুখোপাধ্যায়, হিঙ্গলগঞ্জের বিডিও শাশ্বত প্রকাশ লাহিড়ী, জয়েন্ট বিডিও আবুল কালাম আজাদ , হেমনগর কোস্টাল থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক মৃনাল রায় , কালিতলা অঞ্চলের প্রাক্তন প্রধান শ্যামল মন্ডল যোগেশগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নগেন্দ্রনাথ বৈদ্য বেশ কিছু প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
এদিন তারা শামশেরনগর ও কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় এলাকায় দুয়ারে সরকার প্রকল্পের ক্যাম্পে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাদের সমস্যার কথা শোনেন। সেই সমস্ত সমস্যা দুয়ারে সরকার প্রকল্পের মধ্য দিয়ে কিভাবে দ্রুত মেটানো যায় তা তারা আশ্বস্ত করেন। ষষ্ঠ পর্যায় দুয়ায় সরকার প্রকল্পে এবার মোট ৩৭ টি প্রকল্পের বিভিন্ন সুবিধা পাচ্ছে কিনা সরেজমিনের খতিয়ে দেখেন এদিন দেখা যায় বহু সুন্দরবনবাসী তাদের সুবিধা অসুবিধা বিভিন্ন কাজের খতিয়ান লিপিবদ্ধ করে ফেলতে দেখা যায় কমপ্লেন্ট বক্সে।