পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুসলিমদের সম্পর্কে বিতর্কিত মন্ত্য দিয়ে দেশজুড়ে এমনকী আন্তর্জাতিক মহলে নিন্দা শুরু হয়েছে। কংগ্রেস ও সিপিএম নির্বাচন কমিশনে নালিশও করেছে মোদির বিরুদ্ধে। পাশাপাশি, ২৪ হাজার আম-জনতা নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখে পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছে। দিল্লি পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগও দায়ের হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চাপের মুখে পড়ে এবার মোদির বক্তব্য যাচাই করে দেখার কাজ শুরু করল নির্বাচন কমিশন।
বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙার একাধিক অভিযোগ করেছে কমিশনের কাছে। কিন্তু, মোদির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার প্রশ্নে নির্বাচন কমিশন নীরব। কংগ্রেসের তরফে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগ জমা দেওয়ার পরে ৪৮ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে কমিশন কোনও পদক্ষেপ করেনি। কংগ্রেস প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে, নরেন্দ্র মোদি কি সব অভিযোগের ঊর্ধ্বে? সামান্য শো-কজ নোটিশ পর্যন্ত কমিশন পাঠাতে পারল না মোদিকে?
বিরোধীরা যখন নির্বাচন কমিশনের ‘নিরপেক্ষতা’ ও ‘নীরবতা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে সেই আবহে এবার শোনা যাচ্ছে, মোদির বক্তব্য পরীক্ষা করে দেখার কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। পাঁচ বছর আগের লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্বাচন আচরণবিধি ভাঙার কমপক্ষে ছ’টি অভিযোগ উঠেছিল। সব ক’টি ক্ষেত্রেই শেষ পর্যন্ত ক্লিনচিট পেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে সেই ক্লিনচিট দেওয়ার ব্যাপারে যে মতপার্থক্য হয়েছিল, তা স্পষ্ট হয়ে যায় ভোটের কিছু দিন পরেই তিন নির্বাচন কমিশনারের মধ্যে পদাধিকার বলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসার ইস্তফায়। সূত্রের মতে, সে সময়ে একাধিক অভিযোগে প্রধানমন্ত্রীকে ক্লিনচিট দেওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন লাভাসা।
তবে এবার, বিরোধীদের ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে নির্বাচন কমিশন রাজস্থানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি বক্তব্য’কে ঘিরে তোলা অভিযোগগুলি পরীক্ষা করে দেখার কাজ শুরু করেছে।