পুবের কলম প্রতিবেদক: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বড় নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। ফেলে রাখা যাবে না কোনও আবেদন পত্র। দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে যাবতীয় সমস্যার। এর আগে মন্ত্রিসভা নিয়ে বৈঠকে স্পষ্ট বার্তা দিলেন মুখ্য সচিব। একই সঙ্গে তাঁর নির্দেশ, মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই যাবতীয় কাজ শেষ করে ফেলতে হবে। অর্থাৎ পঞ্চায়েত ভোটের আগেই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা প্রদানে তৎপর হয়েছে প্রশাসন। এবার এই প্রকল্পের সুবিধা আরও ১০ লক্ষেরও বেশি মহিলা পেতে চলেছেন বলে নবান্ন সূত্রে খবর। এখন রাজ্যজুড়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে অর্থ পাচ্ছেন প্রায় ১ কোটি ৮৮ লক্ষ মহিলা। এমতাবস্থায়, নতুন করে আরও ১০ লক্ষেরও বেশি মহিলা এই প্রকল্পে যুক্ত হওয়ার পর এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ১ লক্ষ ৯৮ হাজারে।
নবান্ন সূত্রে আরও খবর, এখনও পর্যন্ত প্রায় ২ লক্ষ ৬৩ হাজার ৪৭৪ টি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আবেদন নানা ত্রুটির জন্য অনুমোদন করা যায়নি। এর মধ্যে জাতিগত শংসাপত্রের ত্রুটির কারণে অনুমোদন করা যায়নি ১৪ হাজার ৫৪৫ টি আবেদন। জেলাশাসকদের চিঠি পাঠিয়ে দ্রুত এই নথিগত ত্রুটি সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ দফতর। আগামী বুধবার নবান্নে সব দফতরকে নিয়ে এক পর্যালোচনা বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই প্রকল্পের নতুন তথ্য তুলে ধরা হবে।
শুধু তাই নয়, ওই দিনই মুখ্যমন্ত্রী নতুন উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর সূচনাও করতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, নবান্ন সূত্রে খবর, গত বুধবারই জেলাশাসক, বিডিও, এসডিওদের উপস্থিতিতেই মুখ্যসচিব নির্দেশ দেন, মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের পরে যেন আর কোনও কাজ পড়ে না থাকে। দুয়ারে সরকার নিয়ে বুধবার মুখ্যসচিব প্রায় দেড় ঘণ্টা জেলাশাসক, বিডিও, এসডিও-দের সঙ্গে বৈঠক করেন।
পাশাপাশি, মুখ্যসচিব নির্দেশ দেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে যে সমস্ত অভিযোগগুলি হয়েছে, অবিলম্বে তার দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। বিশেষতদুয়ারে সরকার শুরু হওয়ার পরপরই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রায় তিন লক্ষ অভিযোগের নিষ্পত্তি বাকি রয়েছে বলে সূত্রের খবর। সেই সমস্যার দূরীকরণ যাতে দ্রুত করে দেওয়া হয়, তা নিশ্চিত করতে জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। তেমনটাই খবর নবান্ন সূত্রের। প্রসঙ্গত, সোমবারই শেষ হয়েছে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পগুলোর মাধ্যমে আবেদন পত্র নেওয়ার কাজ।