পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরেই সমস্যায় পড়েন ভারত থেকে বিদেশে পড়তে যাওয়া পড়ুয়ারা। খাদ্য, পানীয়, অর্থ সংকটে পড়েন তারা। বাঙ্কারে ছেলে-মেয়ে একসঙ্গে থাকতে বাধ্য হয়। এর মধ্যেই কর্নাটক নিবাসী এক পড়ুয়ার মৃত্যু হয়। আতঙ্ক চরম আকার নেয়। বাড়ি ফেরার আর্তি জানিয়ে ভারত সরকারের কাছে আবেদন জানায় পড়ুয়ারা। এর পর বিশেষ সেনা বিমানে করে ভারতে ফেরানো হয় পড়ুয়াদের। বাংলায় ফেরেন ৪২২ জন পড়ুয়া। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদের সকলকে নবান্নে ডেকে কথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন রাজ্যে যাতে পড়ার ব্যবস্থা করা যায় সেই চেষ্টা করবে রাজ্য। সেই মতো আজ কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন মমতা নবান্ন বৈঠক থেকে জানিয়ে দেন বাংলায় ফেরৎ ৪২২ পড়ুয়ার সঙ্গে কথা হয়েছে। রাজ্যের পড়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পড়ুয়াদের জন্য কিছুই করছে না কেন্দ্র। বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ৬ জন পড়ুয়ার পড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকারি ডেন্টাল কলেজে একজনের পড়ার ব্যবস্থা ও ষষ্ঠ বর্ষে ২৩ জন মেডিক্যাল পড়ুয়ার পড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। চতুর্থ ও পঞ্চম বর্ষে ১২৩ জনকে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকালই রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই বৈঠক থেকে কেন্দ্রের ওপরে লাগাতার তোপ বিরুদ্ধে মোদি বলেন, জ্বালানির অত্যাধিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে রাজ্যগুলিকে শুল্ক কমাতে বলা হয়েছিল। কিন্তু অনেক রাজ্যই সেই পথে না হেঁটে শুল্ক কমায়নি। এর ফলে নাগরিকদের এর ফল ভুগতে হচ্ছে। এর পরেই মোদির বক্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী একতরফাই বলে গেলেন, আমাদের কোনও সুযোগ দেওয়া হয়নি। আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক থেকে বলেন, পেট্রোল-ডিজেলের দাম নিয়ে দায় ঝাড়ার চেষ্টা কেন্দ্রের। রান্নার গ্যাস ৩০০ টাকা কমাক কেন্দ্র।