দেবশ্রী মজুমদার, বোলপুর: মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দ ভাজা মুড়ি আর আলুর চপ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্রেন সফরে উত্তরবঙ্গ যাচ্ছেন বোলপুরের উপর দিয়ে। আর ভাই কেষ্ট তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন না, তা কি কখনও হয়? ভাজা মুড়ি আর আলুর চপ আর দিদির প্রিয় খেজুরের গুড়ের তৈরি মন্ডা নিয়ে রেলগাড়িতে তুলে দিলেন অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট।
চার দিনের জেলা সফরে সোমবার উত্তরবঙ্গের যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বোলপুর স্টেশনে দেখা করলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দের খাবারও।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে মুখ্যমন্ত্রী হেলিকপ্টারে উত্তরবঙ্গ যাওয়ার কথা থাকলেও, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সেই পরিকল্পনা বাতিল করা হয়েছে। আজ দুপুরে হাওড়া থেকে ট্রেনে মালদহের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। আজ রাতে মালদহে থাকবেন। পরের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। সেই বৈঠক হবে কর্ণঝোরায়। ৮ ডিসেম্বর বুধবার মালদহে বৈঠক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর আসবেন মুর্শিদাবাদে। ৯ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগরে নদিয়া জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকের পর সেদিনই ফিরে আসবেন কলকাতায়।
উত্তরবঙ্গ যাওয়ার পথে সোমবার বিকেল চারটে নাগাদ বোলপুর স্টেশনে এসে পৌঁছয় নিউজলপাইগুড়িগামী শতাব্দী এক্সপ্রেস। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন বীরভূম জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সঙ্গে ছিলেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী, জেলা পরিষদের মেন্টর অভিজিৎ সিংহ সহ দলের নেতা ও কর্মীরা। ছিলেন জেলাশাসক বিধান রায় ও জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠী।
ট্রেনের কামরায় দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা সেরে নেন অনুব্রত মণ্ডল। মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন তার পছন্দের খাবারও। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীকে জেলাশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারকে বেশ কিছু কথা বলতে দেখতে পাওয়া যায়। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কি কথা হয়েছে তা দিয়ে কোনও কথাই বলতে চাননি কেউই।
অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “উনি যেমন প্রশাসনিক প্রধান, তেমনি উনি আমাদের দলের নেত্রী। তাই তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম।”
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কি কথা হয়েছে বা নেত্রীর পছন্দের কি খাবার তুলে দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে একটা শব্দ খরচা করতে রাজি হননি অনুব্রত মণ্ডল।