পুবের কলম প্রতিবেদকঃ এবার ভোজ্য তেলে লিটারপিছু ১০ থেকে ১৫ টাকা কমানোর নির্দেশ কেন্দ্রের। এক সপ্তাহের মধ্যেই এই নয়া নিয়ম কার্যকর হবে। ফলস্বরূপ এবার কমতে চলেছে সাদা তেল সহ সরষের তেলের দামও। যে ভাবে প্রতিনিয়ত ভোজ্য তেল ও জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে চলেছিল তাতে নাভিশ্বাস উঠেছিল আম জনতার। নিয়মিত বিরোধী আন্দোলনে শেষ পর্যন্ত জ্বালানি তেলের দাম কিছুটা কমালেও এতদিন ভোজ্য তেলের দাম বর্ধিতই ছিল। বিরোধীদের আন্দোলনে এবার কিছুটা পিছু হঠল কেন্দ্র।
চলতি সপ্তাহের বুধবার খাদ্য সচিব সুধাংশু পাণ্ডে কেন্দ্রের এই উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন। এমনকি সঠিক দাম নির্ধারণের ওপরেও কড়া বার্তা দিয়েছে কেন্দ্র, এমনটাই জানান তিনি। কিছু কোম্পানি যারা এখনও তাদের দাম কমায়নি এমনকি তাদের এমআরপি অন্যান্য ব্র্যান্ডের চেয়ে বেশি তাদেরও দাম কমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফ থেকে।
শুক্রবার সমস্ত ভোজ্য তেলের কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসেন খাদ্য সচিব। এছাড়া একই ব্র্যান্ডের তেল যাতে একই দামে সারা দেশে বিক্রি হয়, সেদিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে। জ্বালানি তেলের পর এবার ঘরোয়া বাজারে ভোজ্য তেলের দাম কমিয়ে নিজেদের ক্ষতে প্রলেপ লাগানোর চেষ্টা করল কেন্দ্র।
সূত্রের খবর, বিশ্বব্যাপী তেলের দাম কমলেও ভারতে তেলের দামে এতদিন কোনও পরিবর্তন আসেনি। সেই কারণেই এদিন ভোজ্য তেল কোম্পানি ও প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল খাদ্য মন্ত্রক।
প্রসঙ্গত, রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের পরেই ভারতে ভোজ্য তেলের দাম বাড়তে থাকে। ভারত মূলত অর্ধেকের বেশি তেল বিদেশ থেকে আমদানি করে।
সূত্রের খবর, চলতি বছরের জুন মাসের শুরুতে আন্তর্জাতিক বাজারে টন প্রতি ৩০০-৪৫০ ডলার দাম কমে। উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জুন থেকে দেশে ভোজ্য তেলের (সরিষা, সূর্যমুখী, সয়াবিন এবং পাম তেল ) পাইকারি দাম ৫-১১ শতাংশ কমেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, চলতি বছরের মে মাসে ২০২২-২৩, ২০২৩-২৪ সালে দুই অর্থবর্ষের জন্য বছর প্রতি ২০ লক্ষ মেট্রিক টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল এবং অপরিশোধিত সূর্যমুখী তেল আমদানির উপর শুল্ক এবং কৃষি অবকাঠামো উন্নয়ন সেস তুলে নিয়েছিল কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক।