কৌশিক সালুই বীরভূম: সরকারিভাবে এলাকার বাসিন্দাদের কাছে ডেউচা পাচামি প্রস্তাবিত কয়লা শিল্পাঞ্চল নিয়ে প্যাকেজ ঘোষণা করা হলো। শুক্রবার সিউড়িতে এক উচ্চস্তরীয় বৈঠকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বাসিন্দা আদিবাসী সংগঠনের হাতে প্যাকেজের কাগজ তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি প্রস্তাবিত কয়লা শিল্পাঞ্চল এলাকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্যাকেজ নিয়ে বিস্তারিত আলাপ আলোচনা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এদিনে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক বিধান রায়, পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠী, সভাধিপতি তথা বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী, পিডিসিএল এর প্রতিনিধি অলোক কুমার নাথ সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে এদিন সিউড়ি রবীন্দ্র সদন মঞ্চে ডেউচা পাচামি প্রস্তাবিত কয়লা শিল্পাঞ্চল এলাকা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা আদিবাসী সংগঠন ত্রিস্তরীয় জনপ্রতিনিধি ক্লাব প্রভৃতি মানুষজনদের নিয়ে বৈঠক করা হলো। যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত প্যাকেজ এ কাগজ সরকারিভাবে উপস্থিত মানুষজনদের হাতে তুলে দেওয়া হল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে প্রথম পর্যায়ে দেওয়ানগঞ্জ হরিণসিঙ্গা এলাকায় সরকারি জমিতে প্রকল্পের কাজ শুরু হবে সেখানে যদি কারোর ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমি থাকে প্রয়োজন হলে সেগুলি অধিগ্রহণ করা হবে। এই প্রকল্প নিয়ে যাতে কোনভাবে স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কোন ভাবে কোন প্রকার দ্বিমতের সৃষ্টি না হয় তার জন্য সর্বতোভাবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজর দেওয়া হয়েছে। উপস্থিত মানুষজন বৈঠকে প্যাকেজ এর কাগজপত্র হাতে পাওয়ার পর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও সংশ্লিষ্ট প্যাকেজ নিয়ে আগামী দিনে আরও আলোচনা এবং পর্যালোচনা করা হবে তা সকলকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও দাবি করা হয়েছে এখনো পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে অন্যান্য প্রকল্পের থেকে সবথেকে বেশি আর্থিক সুযোগ-সুবিধা এই প্রকল্পে ঘোষণা করা হয়েছে। কারণ এর আগে কোথাও আর্থিক সহায়তা বা কোথাও চাকরির ব্যবস্থা থাকলেও দুটো একসঙ্গে ছিলনা। প্রস্তাবিত এই এলাকার জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে সকল শ্রেণীর মানুষের জন্য প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। উপস্থিত স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে রঞ্জিত কর্মকার, পূর্ণচন্দ্র বাদ্যকর, তারিক আনোয়ারা বলেন,” আমরা চাই এলাকায় প্রকল্প হোক। সরকার যে প্যাকেজ ঘোষণা করেছে তা অবশ্যই সর্বস্তরের মানুষের জন্য তবে। শুধু জমিহারা নয় সংশ্লিষ্ট প্রকল্প এলাকার বাসিন্দাদের প্রকল্পে সরাসরি কাজ দেওয়ার জন্য আবেদন করছি”। বীরভূম জেলা আদিবাসী উন্নয়ন গাওতার নেতা রবীন সরেন বলেন,” আমরা সরকারিভাবে এদিন প্যাকেজের কাগজ হাতে পেয়েছি এলাকায় গিয়ে নিয়ে পর্যালোচনা করবো তারপর বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ হবে”। জেলাশাসক বিধান রায় বলেন,” এদিন আর্থিক প্যাকেজের সরকারি নথি স্থানীয় বাসিন্দা সহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি আদিবাসী সংগঠনের নেতৃত্তের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে স্থানীয় স্তরে গিয়ে প্যাকেজ নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনা করা হবে”।