পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ অ্যাডভেঞ্চারের নেশা কেড়ে নিল ১১ অভিযাত্রীর প্রাণ। এদেন মধ্যে পাঁচজন বাঙালি। লাগখাগা পাসে উদ্ধার হয়েছে এই অভিযাত্রীদের দেহ। এদের মধ্যে একজনকে বরফ চাপা অবস্থায় জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, অ্যাডভেঞ্চারের টানে পুজোর সময়ে গত ১০ অক্টোবর বের হয় ১৭ জনের ওই দলটি। তুষারধসের কারণে গত ১৮ অক্টোবর তাঁরা পথ হারিয়ে ফেলেন তারা। দলে ছিলেন স্থানীয় গাইড এবং পোর্টার। লামখাগা পাস উত্তরাখণ্ডের অন্যতম দুর্গম এলাকা বলেই পরিচিত। এই পাস পেরিয়েই উত্তরাখণ্ডের হরশিল থেকে যাওয়া যায় হিমাচল প্রদেশের কিন্নরে। তাদের অভিযানের রুট ছিল খারকিয়া থেকে বেরিয়ে ট্রেকিংয়ের রুট ছিল বাগেশ্বর, জাটুলি, দেবীকুণ্ড, নাগকুণ্ড হয়ে কানাকাটা পাস।
এই ঘটনায় উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে বায়ুসেনা। ২০ অক্টোবর থেকেই চলছে এই তল্লাশি অভিযান। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও ভারতীয় বায়ুসেনা একযোগে এই অভিযান চালাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ১১ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে।
জানা গিয়েছে মৃতদের মধ্যে পাঁচজন এই রাজ্যের। এদের মধ্যে তিনজন হাওড়ার বাগনানের বাসিন্দা, একজন ঠাকুরপুকুরের, অপরজন নদিয়ার রানাঘাটের বাসিন্দা।
মৃতদের পরিবার সূত্রে খবর, উত্তরাখণ্ডের বাগেশ্বর জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোলরুম থেকে তাঁদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী বাগেশ্বরের পিন্ডারি এবং কাফনি হিমবাহের কাছে আটকা পড়া ছয় বিদেশি সহ ৬৫ জন ট্রেকারকে উদ্ধার করেছে। পিথোরাগড়ের দারমা উপত্যকা থেকে আরও ২৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
বাগেশ্বরের জেলাশাসক বিনীথ কুমার জানিয়েছেন, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (SDRF) এখনও পর্যন্ত ৪২জন পর্যটককে উদ্ধার করেছে, এদের মধ্যে ছয়জন বিদেশি পর্যটক। পিন্ডারি ও কাফনি হিমবাহের কাছ থেকে আরও ২৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে অতি ভারী বৃষ্টিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে উত্তরাখণ্ড। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮। গত কয়েকদিনের অবিরাম বৃষ্টি ভূমিধস থেকে ভয়ঙ্কর ক্ষয়-ক্ষতির মুখে উত্তরাখণ্ডের কুমায়ূন।