পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় টেলিমেডিসিনের পরিষেবার সম্প্রসারণ ঘটানো হচ্ছে। আর, তারই জেরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের আরও ৩,৪০০টি সাব সেন্টারকে যুক্ত করা হচ্ছে টেলিমেডিসিনের পরিষেবার সঙ্গে। স্বাস্থ্য দফতরের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের অনেকেই মনে করছেন, এর ফলে সরকারি চিকিৎসা পরিষেবায় রাজ্যজুড়ে আরও অনেক বেশি মানুষ উপকৃত হবেন।
স্বাস্থ্য ইঙ্গিত পোর্টালের মাধ্যমে এ রাজ্যে চালু রয়েছে সরকারি স্তরে টেলিমেডিসিনের পরিষেবা। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে যেমন চালু করা হয়েছে বিভিন্ন সুপার স্পেশালিটি বিভাগের পরিষেবা। তেমনই রাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রাথমিক স্তরেও রয়েছে টেলিমেডিসিন পরিষেবার সুযোগ। এর ফলে দূরের কোনও হাসপাতালে না গিয়েও বাড়ির কাছাকাছি কোনও হাসপাতাল কিংবা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রাজ্যের প্রান্তিক এলাকার বহু মানুষও চিকিৎসা পরিষেবার সুযোগ পাচ্ছেন।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রাথমিক স্তরে রাজ্যজুড়ে ৬,৬৮০টি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র, ৭৮০টি গ্রামাঞ্চলের প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং, ৪৫৬টি শহরাঞ্চলের প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বর্তমানে টেলিমেডিসিনের পরিষেবা চালু রয়েছে। টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে সুপার স্পেশালিটি বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসা পরিষেবার উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যার জেরে, নিউরোলজি, কার্ডিয়োলজি, নেফ্রোলজি, গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজির বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি ক্যান্সার, যক্ষ্মা এবং মা ও শিশুদের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও এখন টেলিমেডিসিন পরিষেবার মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের বহু মানুষ।
স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, এ রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তের আরও অনেক বেশি মানুষের কাছে যাতে পৌঁছে দেওয়া যায় টেলিমেডিসিন পরিষেবার সুযোগ, সেই লক্ষ্যেই রাজ্যের আরও ৩,৪০০টি সাব সেন্টারে চালু করা হচ্ছে টেলিমেডিসিনের পরিষেবা। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী বলেন, বিভিন্ন পর্যায়ে এই ৩,৪০০টি সাব সেন্টারে চালু হচ্ছে টেলিমেডিসিনের পরিষেবা। ছুটির দিন বাদে প্রতিদিন এই সাব সেন্টারগুলি থেকে টেলিমেডিসিন পরিষেবা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।