পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ডিজিটালি জন্ম ও মৃত্যু শংসাপত্র ইস্যু করতে নির্দেশিকা প্রণয়নের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিশ দিল শীর্ষ আদালত। মাদ্রাজ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় একজন আসামির বার্ধক্যজনিত কারণে সাজা পুনর্মূল্যায়নের বিষয়ে বিবেচনা করার সময় এই নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট ও বিচারপতি অরবিন্দ কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা চলে। নির্দেশিকা প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিশ ইস্যু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, সমস্যা এড়াতে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা ডিজিটালে আবেদন করতে পারবে। চার সপ্তাহের মধ্যেই ফেরত পাওয়া যাবে।
মামলা পরিপ্রেক্ষিতে জানা গেছে, আবেদনকারী শিবগাঙ্গাই জেলার মেলাপুংগুড়ি গ্রামের একজন গ্রাম প্রশাসনিক কর্মকর্তা ছিলেন। তার বিরুদ্ধে মৃত্যু শংসাপত্র দেওয়ার জন্য ১২০০ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ রয়েছে। ওই ব্যক্তি ঘুষ দিতে অস্বীকার করলে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাকে বিপদে ফেলতে ফাঁদও পাতা হয়। আবেদনকারীকে গ্রেফতার করা হয়। ট্রায়াল কোর্ট তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১,০০০/- টাকা জরিমানা করে, অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়।
মাদ্রাজ হাই কোর্টে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়ে দিয়ে জানানো হয়, অপরাধটি ২০০৪ সালের, এখন ১৮ বছর পার হয়ে গেছে। আবেদনকারীর বয়স ৭৮ বছর। হাইকোর্ট আবেদনকারির বয়স সহানুভূতির সঙ্গে বিচার করে সাজা কমিয়ে তিন বছর কমিয়ে এক বছর কারাদণ্ড দেয়। হাই কোর্টে রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আবেদনকারি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। তখনই বয়সের অসঙ্গতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এই নির্দেশিকা দেয় সুপ্রিম কোর্ট।