পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে এক সাংবাদিক এবং দুই আইনজীবীর বিরুদ্ধে কঠোর সন্ত্রাসবিরোধী আইন ইউএপিএ-র অধীন মামলা দায়ের করেছে ত্রিপুরা পুলিশ। বুধবার অভিযুক্তদের আবেদনে সাড়া দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সুশীল সমাজের তিন সদস্যের বিরুদ্ধে কোনো দমনমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে না ত্রিপুরা পুলিশ।
প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ আগরতলা পুলিশের উদ্দেশে একটি নোটিশ জারি করে। জানানো হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কঠোর সন্ত্রাসবিরোধী আইন ইউএপিএ-এর অধীনে মামলা দায়ের হওয়া সাংবাদিক শ্যাম মীরা সিংহ এবং দুই আইনজীবীর বিরুদ্ধে কোনো জবরদস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না।
রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে “নিশানা করে হিংসা”র ঘটনা সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করেছিলেন অভিযুক্তরা। এই অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ইউএপিএ আইনের অধীনে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। নিজেদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এই মামলা বাতিলের আবেদন জানিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সাংবাদিক শ্যাম মীরা সিংহ এবং দুই আইনজীবী মুকেশ ও আনসারউল হক।উল্লেখ্য, ওই দুই আইনজীবীই হিংসা পরবর্তী সময়ে সত্যানুসন্ধানী দলের সদস্য হিসেবে ত্রিপুরায় গিয়েছিলেন।
আইনজীবী মুকেশ জানিয়েছেন, ত্রিপুরার হিংসার বিষয়ে আমরা যে রিপোর্ট তৈরি করেছি তার জন্য আমার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এই এফআইআরের কারণে আমরা ভীষণ উদ্বিগ্ন রয়েছি। সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত আপাতত স্বস্তি দিচ্ছে, কিন্তু আমরা চাই এই এফআইআর বাতিল হোক। সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে হিংসার ঘটনা সম্পর্কে আমাদের তথ্য-অনুসন্ধানের রিপোর্ট ছিল সম্পূর্ণ বাস্তবসম্মত, আপত্তিকর কিছু ছিল না। আমরা সুপ্রিম কোর্ট থেকে ন্যায়বিচার পাব বলে আশা করছি।”