পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: স্পর্শকাতর মামলা যেমন জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা হরণ করতে গিয়ে ৩৭০ ধারার বিলুপ্তি অথবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুসলিম মেয়েদের হিজাব পরা নিষিদ্ধকরণের আদালত ফরমান সুপ্রিম কোর্টে চূড়ান্ত বিচারের জন্য পড়ে রয়েছে। এই সব অতি স্পর্শকাতর মামলার রায় দিতে গিয়ে অযথা দেরি হচ্ছে যার ফলে সমাজে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে। এই ইস্যুগুলিকে নিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে একটি বিশেষ দল। এই প্রশ্নের উত্তরে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছেন, আমরা রাজনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর মামলাগুলির সম্পর্কে খুবই সচেতন। যেমন হিজাব নিষিদ্ধকরণ বা ধারা ৩৭০ এর বিলুপ্তি। আমরা চেষ্টা করছি যাতে এই মামলাগুলি তাড়াতাড়ি নিষ্পত্তি করা যায়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টকে ‘রেগুলার’ মামলাগুলিও শুনতে হয় যেমন ব্যক্তিগত মামলা অথবা জামিনের মামলা।
তবে স্পর্শকাতর মামলাগুলির নিষ্পত্তিতে বিলম্বের কারণে সুপ্রিম কোর্টের সমালোচনা করাই যায়। কিন্তু এই ধরনের বড় বড় মামলার শুনানির জন্য সংবিধান বেঞ্চ গঠন করতে হয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টেরও কিছু অসুবিধা রয়েছে যেমন মৃত্যুদণ্ডের আসামী তার শুনানির জন্য অবিলম্বে সময় চাইতেই পারে। তাকে সময় দিতেও হয় কারণ এক্ষেত্রে বিষয়টা একজনের জীবন মৃত্যুর। ২০১৯ সালে ৩৭০ ধরা অবলুপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে একগুচ্ছ মামলা দায়ের করা হয়েছে শীর্ষ আদালতে। ২০২৩ সালে অর্থাৎ ৪ বছর পর মামলাগুলির শুনানি শেষ হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট রায় সংরক্ষিত রেখেছে। গত ৫ সেপ্টেম্বর ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলির শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্ট এই মামলার রায় দিতে পারে। তেমনি কর্নাটক হাইকোর্টের হিজাব নিষিদ্ধকরণের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছিল ২০২২ সালে। এই মামলাগুলি শুনানি পর্যন্ত এখনও করে উঠতে পারেনি দেশের শীর্ষ আদালত। এদিন হার্ভাড ল’কলেজে আয়োজিত আলোচনাচক্রে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন প্রধান বিচারপতি।