পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ এবার ‘তালাক-ই-হাসান’-এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে সরব হলেন দুই মহিলা৷ তালাকের ভিক্টিম হিসেবে তারা দাবি করেছেন নিজেদের৷ তাই তাদের সমস্যার সমাধান করতে তালাক-ই-হাসানের বৈধতা খারিজ করার আবেদন জানিয়েছিলেন তারা৷ তবে সুপ্রিম কোর্ট তাতে রাজি নয়৷ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, এই ধরনের তালাকের সাংবিধানিক বৈধতা আমরা বিচার করতে বসিনি৷ আমরা ওই দুই মহিলার সমস্যার সমাধান করে তাদেরকে স্বস্তিদান করতে চাই৷ এটাই আমাদের প্রাথমিক উদ্দেশ্য৷ আমরা ভেবেছি তারা হয়তো নিজেদের সমস্যার সমাধান পেতে এসেছে৷ প্রসঙ্গত, তালাক-ই-হাসানের মাধ্যমে মুসলিমদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের যে প্রথা চালু আছে, তা তাৎক্ষণিক তিন তালাকের মতো নয়। সুপ্রিম কোর্ট এ কথা এর আগেও জানিয়েছে। এই ধরনের ধাপে ধাপে তিন তালাকের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের কোনও বিরূপ মনোভাব দেখা যায়নি৷ তিন তালাকের মতো তাৎক্ষণিকভাবে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় না এতে৷ তালাক-ই-হাসান এর ক্ষেত্রে তিন মাস যাবত প্রতি মাসে একবার করে ‘তালাক’ উচ্চারণ করতে হয়। এর মাঝে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া হয়ে গেলে তালাক হয় না৷ শীর্ষ আদালতে বেনজির হিনা ও নাজরিন নিশা নামে দুই আবেদনকারী তালাক-ই-হাসানকে অসাংবিধানিক হিসাবে ঘোষণা এবং বাতিল করার আবেদন করেছিলেন। আবেদনে বলা হয়েছিল, শীর্ষ আদালত তিন তালাককে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করলেও তালাক-ই-হাসানের বিষয়টি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। আবেদনকারীদের দাবি, এই প্রথা স্বেচ্ছাচারী, অযৌক্তিক এবং মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনকারী। তবে সুপ্রিম কোর্ট জোরের সঙ্গে জানিয়েছে, তাৎক্ষণিক তিন তালাকের মতো নয় এটি৷ তাই একে এখনই সাংবিধানিক ভাবে অবৈধ ঘোষণা করতে যাচ্ছে না তারা৷ ওই দুই মহিলার সমস্যার সমাধান করতেই তাদের শুনানি৷ বিচারপতি এস কে কাউল ও বিচারপতি অভয় আবেদনকারী দুই মহিলার স্বামীদেরকে এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য নোটিশ দিয়েছেন