সেখ কুতুবউদ্দিন: শীর্ষ কোর্ট গঠিত কমিটির এক্তিয়ার মামলা খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। সম্প্রতি বিচারপতি রবীন্দ্র ভাট এবং দীপঙ্কর দত্তের এজলাসে এই মামলা খারিজ হয়। উল্লেখ্য, গত ১ আগস্ট ৩৫ জন কমিটির মাধ্যমে নিযুক্ত শিক্ষক মামলা করেন। ২২ আগস্ট মামলার রায় হয়। দায়ের করা ওই মামলা খারিজ হয়ে যায় সুপ্রিম কোর্টে।
কমিটির মাধ্যমে নিযুক্ত মাদ্রাসার শিক্ষকদের বৈধতা নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই কমিটির মেয়াদ শেষ হয় ২ আগস্ট। আর এই তারিখের মধ্যেই রাজ্য সরকারের কাছে নিয়োগের বৈধতা নিয়ে রিপোর্ট জানায় তদন্ত কমিটি। কমিটির মাধ্যমে নিযুক্ত হওয়া ৩৫ জন শিক্ষক সুপ্রিম কমিটির তদন্তের এক্তিয়ার নিয়ে শীর্ষ কোর্টে মামলা দায়ের করে। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, কমিটি বহু বিষয় জিজ্ঞাসা করছে, যা ওই কমিটির এক্তিয়ার নেই।
ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে মাদ্রাসায় নিযুক্ত শিক্ষকদের নিয়োগ-বৈধতা ‘খতিয়ে দেখতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে সুপ্রিম কোর্ট। ইতিমধ্যে সেই কমিটি শিক্ষকদের রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট দফতরে জমা দিয়েছে।
সম্প্রতি এক মামলায় শীর্ষ আদালতে সরকার দাবি করে, ৯৫৭ জন শিক্ষকের মধ্যে সকলেই অবৈধ। কারণ, এই নিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় কোনও আইন মানা হয়নি। ওই কমিটি রাজ্য সরকারের কাছে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেওয়ার দু মাসের মধ্যে এই নিয়োগ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত হবে।
প্রসঙ্গত, এই সুপ্রিম কমিটির কাছেই নথিপত্র-সহ ওই শিক্ষকদের আসতে হয়। কিন্তু দেখা গিয়েছে, এই কমিটির কাছে ৭৫০ জনের মতো শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নথি যাচাইয়ের জন্য আবেদন করে। সুপ্রিম কমিটি গঠনের আগে ৯৫৭ জন মামলা করলে এদের মধ্যে প্রায় ২৫০ জনের মতো শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী তথ্য যাচাইয়ের জন্য উপস্থিতিই হননি। সুপ্রিম কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২ আগস্ট তদন্তের দিনক্ষণ শেষ হচ্ছে। তার আগে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট দেবে ওই কমিটি। এক সূত্রে জানা যাচ্ছে, তথ্য যাচাইয়ের আবেদনকারীদের মধ্যে অধিকাংশ শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর নিয়োগ অবৈধ মনে করছে কমিটি। আর এতে বহু শিক্ষককের নিয়োগ বাতিল হবে বলে মনে করা হচ্ছে।