নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কুয়েতের বিরুদ্ধে ম্যাচটাই তাঁর আন্তর্জাতিক ফুটবলের শেষ ম্যাচ। আর সেই ম্যাচ খেলতে কলকাতায় পৌঁছে গেলেন ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। ভারতীয় দলের ২৭ জনের যে সদস্যদের নাম আগে ঘোষণা করেছিলেন কোচ ইগর স্টিমাচ, তাঁদের কয়েকজন পৌঁছে গিয়েছেন আগেই। ওড়িশায় অনুশীলন সেরে ইগর স্টিমাচ ও দলের বাকি সদস্যদের সঙ্গে এদিন বিমানবন্দরে নেমে বেশ খুশি দেখিয়েছে সুনীলকে।
বুধবার তাঁকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানাতে উপস্থিত ছিলেন আইএফএ সভাপতি অনির্বাণ দত্ত। তবে ভারত অধিনায়ককে বিমানবন্দরে রিসিভ করতে তেমন উৎসাহ চোখে পড়েনি। খবরটা আগেই ছিল যে বুধবার সুনীল আসবেন কলকাতায়। ৬ দিন আগে থেকেই তিনি দলের অনুশীলনে যোগ দিয়ে দেবেন। সেইমতোই তিনি এলেন ঠিকই। কিন্তু সামনে যেহেতু লোকসভা নির্বাচনের শেষ পর্যায়ের ভোট, তাই নিরাপত্তায় কিছু কড়াকড়ি করা হয়েছে বিমানবন্দর চত্বরে। হয়ত সে কারণে অনেকেই ভিড় জমাতে চাননি বিমানবন্দর চত্বরে।
তবে যে ভারতীয় সমর্থকরা দেশের অন্যতম ফুটবল আইকনকে বরণ করে নিতে গেলেন, তাদের হাতে ছিল বিরাট ব্যানার। বিশ্বের চতুর্থ সর্বোচ্চ গোলস্কোরার সুনীল ছেত্রী বিমানব¨রের গেট দিয়ে বের হতেই তাঁকে ঘিরে সেই গুটিকয়েক সমর্থকের উচ্ছ্বাস শুরু হয়ে গেল। সুনীল ছেত্রীর সঙ্গে ভারতীয় দলের আরও বেশ কয়েকজন সদস্যও এসেছেন। তাঁদের নিয়েও স্লোগান দেন এই অনুরাগীরা। বেশ কিছু সমর্থককে সুনীল ছেত্রীর সঙ্গে নিজস্বীও তুলতে দেখা যায়। এরপরই সুনীল ছেত্রী হাসিমুখে বাসে উঠে পড়েন। সমর্থকদের উদ্দেশ্যে হাতও নাড়লেন তিনি।
আইএফএ সচিব জানান, ‘সুনীল ছেত্রী মানে, ভারতীয় ফুটবলের কাছে একটি অনন্য নাম। সেই সুনীল তাঁর শেষ ম্যাচ খেলতে চলেছেন এই কলকাতাতেই। তাই তাঁর জীবনের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচটি আমরা স্মরণীয় করে রাখতে চাই।’ কুয়েতের বিরুদ্ধে সুনীল ছেত্রীর বিদায়ী ম্যাচে থাকবে ৬২ হাজার দর্শক। আর এই ৬২ হাজার দর্শককে সুনীল ছেত্রীর মুখোশ দেওয়া হবে। মাঠে থাকতে চলেছে সুনীলের বড় বড় পোস্টার। সুনীলকে আলাদা করে সম্বর্ধনা দেওয়ার কথাও জানিয়েছে ফেডারেশন।