পুবের কলম প্রতিবেদক: মহান সুফি সাধক হযরত সৈয়দ শাহ এরশাদ আলী আলকাদেরী আলবাগদাদী পাকের ৭১ তম বার্ষিক উরস পালিত হল মঙ্গল বার দিবাগত রাতে ও বুধবার দিনে(২১ জামাদিয়াল আওয়াল)। তিনি জনমানসে ‘পীর ও মুরশেদ পাক’ নামে খ্যাত। মূল অনুষ্ঠানটি হয় কলকাতার ৪ নং হাজি মুহাম্মদ মহসিন স্কোয়ারের দরবার পাকে ও ২২ নং খানকা শরীফ লেনের মসজিদ পাকে ।
এছাড়াও মেদিনীপুরের জোড়া মসজিদ ও তৎ-সংলগ্ন ‘মওলা পাকের’ মাযার পাকে, পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের কারিকরপাড়া কাদেরিয়া মসজিদ ও মাযার পাকে, বিহারের পূর্ণিয়া জেলার হযরত রওশনগঞ্জ শরীফে এবং পশ্চিম বঙ্গ ও বাংলা দেশে অবস্থিত ‘সিলসিলা এ কাদেরিয়া’-র বিভিন্ন খানকা শরীফ ও মসজিদ পাকে দিনটি পালিত হয়। এই সমস্ত অনুষ্ঠানই ‘বড়ো পীর সাহেব’ হযরত আব্দুল কাদির জিলানী পাকের ২৩ তম বংশধর, ‘পীর ও মুরশেদ’ পাকের প্রপৌত্র ও বর্তমান স্থলাভিষিক্ত উত্তরাধিকারী, সাজ্জাদানশীন হুযুর পাক হযরত সৈয়দ শাহ ইয়াসূব আলী আলকাদেরী আলবাগদাদীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিটি অনুষ্ঠান কেন্দ্রে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে মানুষের ঢল নামে। প্রসঙ্গত আজ থেকে প্রায় আড়াইশো বছর আগে তাঁদের পূর্বপুরুষ, ‘বড় পীর সাহেব’ এর ১৫ তম বংশধর হযরত সৈয়দ আব্দুল্লাহ আল জিলী আল বাগদাদী পাক ইরাকের বাগদাদ নগরী হয়ে ভারতে তশরিফ আনেন এবং ওই সমস্ত স্থানে ইসলামী চর্চা ও কাদেরিয়া তরিকার কেন্দ্র গড়ে ওঠে। ‘পীর ও মুরশেদ’ পাকের পিতা ‘মওলা পাক’ এর উরসে ৪ই ফাল্গুন মেদিনীপুরের জোড়া মসজিদে প্রতিবেশি বাংলাদেশ থেকে স্পেশাল ট্রেন ও রিজার্ভ বাস এসে থাকে যা দুই দেশের পারস্পরিক সম্প্রীতিকেও তুলে ধরে।