পুবের কলম প্রতিবেদক: পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতেই আসা, দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে প্রয়োজনে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। রিষড়ার ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া রাজ্যপাল সিভি আনন্দের। রিষড়ার যে ঘটনা সোমবার ঘটেছে সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কিন্তু নিজের কর্মসূচী ছোট করে তিনি ফিরে আসেন কলকাতায়। বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সামনে দাঁড়িয়ে রিষড়া কাণ্ডে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। রাজ্যপাল বলেন, দুষ্কৃতীদের হাতে আইন তুলে নিতে দেওয়া হবে না। শান্তিভঙ্গকারীদের কোনওভাবেই বরদাস্ত নয়। ঘটনাস্থলে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। স্থানীয়রা তাঁকে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা শোনান। তাদের অভিযোগ, ঘটনার দিন বাইরে থেকে লোক আনা হয়েছিল।
রাজভবন সূত্রে খবর, রাজ্যপালের আগামীকাল উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যোগ দিয়ে বৃহস্পতিবার কলকাতায় ফেরার কথা ছিল। কিন্তু রিষড়াকাণ্ডের জেরে সেই কর্মসূচি বাতিল করে, তড়িঘড়ি আজই বাগডোগরা থেকে বিমানে চড়ে কলকাতায় আসেন তিনি।
এরই মধ্যে সোমবার রাতে হাওড়া-ব্যান্ডেল শাখার রিষড়া রেল স্টেশনের কাছে ৪ নম্বর রেল গেট এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। এলাকায় বোমাবাজি হয় বলেও অভিযোগ। রেল পিরিষেবায় অশান্তির আঁচ এসে পড়ে। প্রায় তিন ঘণ্টা হাওড়া-ব্যান্ডেল মেইন লাইনে লোকাল, দূরপাল্লার ট্রেন সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে পড়ে। যাত্রীরা চরম ভোগান্তির মুখে পড়েন।
রিষড়া কাণ্ডের জের কাটিয়ে ভোর থেকেই প্রায় স্বাভাবিক হাওড়া-বর্ধমান মেইন শাখার লোকাল ও দূরপাল্লার ট্রেন পরিষেবা। তবে সোমবার রাতে রিষড়া চার নম্বর রেল গেটের কাছে পাথর বৃষ্টির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হাওড়া শ্রীরামপুর লোকাল ট্রেনের যাত্রী পরিষেবার অবস্থায় না থাকায় সকালে শ্রীরামপুর লোকাল বাতিল করতে হয়। একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে পূর্ব রেল জানিয়েছে, রেল-বহির্ভূত কারণে সোমবার তিন ঘণ্টার জন্য এই শাখায় পরিষেবা বন্ধ রাখতে তারা বাধ্য হন রাত ১০.০৩ মিনিট থেকে রাত ১.১৩ মিনিট পর্যন্ত। আপ ও ডাউন উভয় লাইনেই পরিষেবা মধ্যরাত গড়িয়ে যাওয়ার পর মোটের ওপর স্বাভাবিক ছন্দে ফেরে।
চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তাদের পাশাপাশি পরিস্থিতি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হুগলি গ্রামীণ পুলিশও। দল হাওড়া থেকেও যায়। ঘটনাস্থলে এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সিদ্ধিনাথ গুপ্তাও যান। ছিল রেল পুলিশ। মধ্যরাতে অর্থাৎ রাত ১:১৩ পর ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইট করে জানিয়েছেন, ‘আজ কেন বোমাবাজি ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা? কেউ আজকে মিছিল করেনি। রাজ্য সরকার দাবি করেছে “সব ঠিক আছে। এই সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিস বাহিনী মোতায়েনই বিশ্ববাংলার শান্তিপ্রিয় জনগণকে রক্ষা করার একমাত্র সমাধান।