নয়াদিল্লি, ২১ মার্চ: ভোটের মুখে কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের পক্ষ থেকে পাঠানো ‘বিকশিত ভারতে’র মেসেজ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়৷ বিরোধীদের অভিযোগ পর নড়েচড়ে বসল কমিশন। কেন্দ্রের ‘বিকশিত ভারতে’র বার্তা নিয়ে কড়া নির্দেশ দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রককে নির্দেশ দিচ্ছে, এখনই যেন বিকশিত ভারত সম্পর্কিত মেসেজটি হোয়াটসঅ্যাপ মারফত পাঠানো বন্ধ করা হয়৷ এই নিয়ে রিপোর্টও চাওয়া হয়েছে৷ কমিশন সূত্রে খবর, বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ এসেছে, সরকারি উদ্যোগে সরকারের প্রচারের জন্য এই মেসেজ সাধারণ নির্বাচন ঘোষণার পরেও পাঠানো হচ্ছে৷ নির্বাচনী আচরণ বিধিকে যা লঙ্ঘন করছে৷
প্রসঙ্গত, ১৬ মার্চ নির্বাচন ঘোষণার পরেও দেশে ও বিদেশে অবস্থিত ভারতীয়রা ‘বিকশিত ভারত সম্পর্ক’-নামে একটি মেসেজে পেয়েছেন৷ হোয়াটসঅ্যাপের বিজনেস অ্যাকাউন্ট থেকে এই মেসেজ পাঠানো হচ্ছে৷ সেখানে একাধিক সরকারি প্রকল্প নিয়ে মোদির নামাঙ্কিত একটি চিঠিতে বিভিন্ন মতামত চাওয়া হয়েছে৷ সেখানে আর্টিকেল ৩৭০, তিন তালাক-সহ একাধিক ইস্যু রয়েছে৷ এই মেসেজের প্রেক্ষিতেই বিরোধী দলগুলির তরফ থেকে বলা হয়েছে, এই ধরনের মেসেজ এখন পাঠানো আদর্শ নির্বাচনী বিধির বিরোধী৷ তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেস এই নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিল কমিশনে৷
এদিকে, নির্বাচন কমিশনের এই নির্দেশের পালটা জবাব দিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের বক্তব্য, আদর্শ আচরণবিধি চালু হওয়ার আগেই পাঠানো হয়েছিল এই বার্তাগুলি। কিন্তু কিছু বার্তা ‘সম্ভবত সিস্টেমিক এবং নেটওয়ার্ক’ সমস্যার কারণে দেরিতে পৌঁছেছে।
Our Advocacy for Democracy Won!
We urged the @ECISVEEP to step in & prevent @BJP4India from breaking the Model Code of Conduct. As a result, the ECI has ordered an immediate stop to the spreading of PM @narendramodi's propaganda messages on WhatsApp.
Democracy = 1; Modiji = 0 pic.twitter.com/6ZjWtVamPJ
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) March 21, 2024
অন্যদিকে, কমিশনের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে বলা হয়েছে, “গণতন্ত্রের পক্ষে আমাদের জয় হয়েছে! আমরা বিজেপির নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ করা নিয়ে কমিশনে অভিযোগ করেছিলাম। হোয়াটসঅ্যাপে প্রধানমন্ত্রীর প্রচার বার্তা অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। গণতন্ত্র-১, মোদীজি-০।”