ইনামুল হক, বসিরহাটঃ এ যেন যথার্থভাবে দলের স্টিয়ারিং তাঁর হাতে। কেবল বিধায়ক হিসেবে নন দলের একজন সংগঠক মনে করে নিজেই ধরলেন একুশে জুলাই এর ট্যাবলোর স্টিয়ারিং। বৃহস্পতিবার বিধায়ক ডা. সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়ের এভাবে আচমকা ট্যাবলো চালানো দেখে অনেকেই অবাক হলেন আর দলীয় কর্মী সমর্থকরা তো আনন্দে খুশিতে ফেটে পড়লেন।বসিরহাট আইএনটিটিইউসি শ্রমিক সংগঠনের উদ্যোগে বসিরহাট প্রাণকেন্দ্র ইছামতী ব্রিজ থেকে শুরু হল একুশে জুলাই এর ট্যাবলোর পথ চলা। এই জেলায় সীমান্ত থেকে সুন্দরবন এই সাত দিন গ্রাম-গঞ্জে বাড়ির দুয়ারে পৌঁছে যাবে এই ট্যাবলো। তার শুভ সূচনা করেন স্বয়ং বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়। বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি কৌশিক দত্ত, দীপ সরকার, ভাস্কর মিত্র, বাবুলাল সাধুখাঁসহ বহু শ্রমিক নেতা কর্মী। তারা জানান এতে যেমন তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের উজ্জীবিত করবে।
অন্যদিকে একুশে জুলাইয়ের শহীদ তর্পনের সারমর্ম বোঝানো হবে। এবার একুশে জুলাই আর পাচটা জুলাই এর মতো নয়, সেটা স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় উঠেছিল। করোনা মহামারির দু’বছরের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস সেভাবে একুশে জুলাই পালন করিনি। কখনো ভার্চুয়াল আবার কখনো নিজে নিজের বাড়িতে শহীদদের তর্পণ করেছিলেন ।এবার একেবারে অন্য মাত্রায় একুশে জুলাই।
সুসজ্জিত ১৩ জন শহীদের নাম ও ছবি চারচাকা গাড়িতে এক অন্য মাত্রায় দেখা গেল । এই উদ্যোগ একেবারে অভিনব স্বয়ং বসিরহাট দক্ষিণ তৃণমূল কংগ্রেসের চিকিৎসক বিধায়ক ডা. সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নিজে স্টিয়ারিং ধরে গাড়ি চালিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন বিভিন্ন জায়গায়। একুশে জুলাই কতটা আবেগ অনুভূতি তা আজকের এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে তা মানুষকে বোঝানোর একমাত্র লক্ষ্য। যাতে এবার একুশে জুলাই যেন বিগত দিনের একুশে জুলাই জনসমুদ্রকে ছাপিয়ে যায়। সাত দিন ঘোরার পর ২১ জুলাই এর দিন এই ট্যাবলো ধর্মতলার মেয়ো রোডে পৌঁছে যাবে।