পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: একদিকে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট অন্যদিকে তীব্র ঠাণ্ডা, এই দুইয়ের জেরে ভোগান্তিতে শ্রীনগর। দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ না থাকার ফলে অন্ধকারে ডুবেছে উপত্যকা। যার প্রভাব পড়েছে ব্যবহারিক জীবনে।
ইতিমধ্যেই উপত্যকার উপরের দিকে শুরু হয়েছে তুষারপাত। এই অবস্থায় দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ না থাকার ফলে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে স্থানীয় মানুষ।
শ্রীনগর সহ উপত্যকার অন্যান্য অংশের বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন দফতর ইতিমধ্যেই দীর্ঘ এবং বিরক্তিকর বিদ্যুৎ কাটছাঁটের আশ্রয় নিয়েছে, ফলে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে।
গুলমার্গের বিখ্যাত স্কি রিসর্ট সহ কাশ্মীরের উপরের অংশে ইতিমধ্যেই তুষারপাত চলছে। পাশাপাশি শ্রীনগর সহ সমতলেও এই সপ্তাহগুলিতে মুষলধারে বৃষ্টি চলেছে। উপত্যকার উপরের অংশে তুষারপাত, সেই সঙ্গে সমতলে বৃষ্টি কাশ্মীরের ঠাণ্ডাকে আরও বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। হাড়কাঁপানো ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে স্থানীয় মানুষ জ্যাকেট, সোয়েটার, ফেরান পরছে। এই অবস্থার মধ্যেই ফের ১৯ নভেম্বর থেকে উপত্যকায় তুষারপাত ও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
শ্রীনগরের বাসিন্দা আলি মোহাম্মদ বলেন, এবছর সময়ের আগেই উপত্যকায় ঠাণ্ডা পড়েছে। এই অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে এবছর জাঁকিয়ে ঠাণ্ডা পড়বে এখানে। আলি মোহাম্মদ অভিযোগের সুরে বলেন, যখন সরকারের উচিৎ ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করা, সেখানে দুর্ভাগ্যবশত দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা এই শীতের তীব্রতাকে বহু মাত্রায় বাড়িয়ে তুলছে। ঠাণ্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় মানুষকে সমস্যায় ফেলে এইভাবেই হয়তো বিদ্যুৎ অপচয় বন্ধ করার কর্মসূচি নিয়েছে সরকার।
বিদ্যুৎ কাটছাঁটের কর্মসূচি অনুযায়ী, মিটারযুক্ত এলাকায় ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা এবং মিটারবিহীন এলাকায় প্রায় ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হবে।
এই অবস্থায় শ্রীনগরের বাসিন্দাদের ক্ষোভ ক্রমশই বাড়ছে। একদিকে প্রবল শীত, সেই সঙ্গে লাগাছাড়া বিদ্যুৎ বিভ্রাট সব মিলিয়ে এক বিরক্তিকর অবস্থা তৈরি হয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট আরও বাড়বে বলে জানা গেছে। সময়ের আগেই অন্ধকার নেমে আসছে উপত্যকায়। এই অবস্থায় ভোগান্তিতে মানুষ।