নয়াদিল্লি, ১৭ ডিসেম্বর: সংসদে স্মোক ক্যান কাণ্ডে মূলচক্রী সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সংসদ হামলার চক্রীদের সংসদে ঢোকার পাস ইস্যু করেছিলেন মাইসুরুর বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহা। হামলার পর চারদিন পেরিয়ে গেলেও দলের সাংসদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই করেনি বিজেপি। এদিকে বারংবারই বিজেপি সাংসদের বহিষ্কারের দাবিতে সরব হয়েছে বিরোধীরা। লাগাতার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে চাপ বাড়িয়েছে তাঁরা। এবার চাপে পড়ে বিজেপি সাংসদ প্রতাপের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে চলেছে দিল্লি পুলিশ।
সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতাপ সিমহার ইস্যু করা পাস নিয়ে সংসদে ঢুকেছিল দুই হামলাকারী। সেই সূত্র ধরেই সংসদে হানা কাণ্ডে বিজেপি সাংসদের বয়ান রেকর্ড করতে চায় দিল্লি পুলিশ। সাগর শর্মা ও মনোরঞ্জন ডি’রা কী প্রতাপের পূর্ব পরিচিত ছিলেন? বা তাঁদের কীভাবে পাস দেওয়া হল? সে বিষয়গুলি নিয়ে সাংসদকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে পুলিশ। এই মর্মে অনুমতি চেয়ে ওম বিড়লাকে চিঠি দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। স্পিকার অনুমতি দিলেই ওই সাংসদকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল।
সংসদে নিরাপত্তা গাফিলতি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বিজেপি সাংসদরা। সমস্ত নজরদারি অনায়াসে এড়িয়ে বিজেপি সাংসদের পাস হাতে সংসদে হলুদ ক্র্যাকারের ধোঁয়ায় ভরে দেয় দুজন। তাও আবার সংসদ হামলার বর্ষপুর্তীর দিনেই। যিনি এমন পাস ইস্যু করেছিলেন তার বিরুদ্ধে বিজেপি কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এবার তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে চলেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, নয়া সংসদের নিরাপত্তা গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন করতেই বিরোধী সাংসদ’দের সাসপেন্ড করা হয়েছে। এভাবেই বিরোধী কন্ঠকে দমাতে চেষ্টা চালিয়েছে কেন্দ্র। গত বৃহস্পতিবার ১৩ জন সাংসদ এবং রাজ্যসভা থেকে তৃণমুল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন মিলিয়ে মোট ১৪ জনকে সাসপেন্ড করা হয়। আসলে বিরোধীদের কন্ঠরোধ করতে এই কৌশল নিয়েছে কেন্দ্র। বিরোধী সাংসদদের বরখাস্তকে ‘গণতন্ত্রের হত্যা’ হিসাবে বর্ণনা করেছে কংগ্রেস।