পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বিপর্যয়ের মেঘ কাটিয়ে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে সিকিম। মেঘভাঙা বৃষ্টি ও ভূমিধসে সিকিমে কমপক্ষে মৃত্যু হয়েছে ৮২ জনের। নিখোঁজ প্রায় ১০০। মারা গেছেন ৯ জন সেনা জওয়ান। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। পুজোর মুখে সিকিমের পরিস্থিতি পর্যটনের উপর বড়সড় প্রভাব ফেলেছে। তবে ফের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে এই পাহাড়ি রাজ্য। পরিস্থিতি কিছুটা অনুকূল হতেই স্কুলগুলির জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি করল সিকিম সরকার।
সোমবার রাজ্য সরকারের তরফে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, সেখানকার সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি স্কুলগুলি যেন অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে পঠনপাঠনের ব্যবস্থা শুরু করে। সিকিমের সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি স্কুলের নবম, দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের অনলাইন ক্লাসের সুবিধা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিকিমের শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে বলা হয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে বহু দিন সিকিমের সমস্ত স্কুল বন্ধ হয়ে পড়েছিল। ফলে পড়াশোনার কাজ ব্যাহত হয়েছে। গত ৪ অক্টোবর অবিরাম বৃষ্টির পরে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে সিকিম। চার দিনের জন্য রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল সিকিম সরকার। পরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
সিকিম সরকার জানিয়েছে, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মোট ৮৫ হাজার ৮৭০ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে অন্তত ১,৭১৬টি বাড়ি। ২,৫৬৩ জন মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠানো হয়েছে মোট ২,৭৬৪ জনকে। সিকিমে মোট ২৬টি ত্রাণশিবির খোলা রয়েছে। ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন অন্তত ৬,৫০৫ জন মানুষ। ভেঙে পড়েছে রাজ্যের মোট ১৪টি সেতু।