মোল্লা জসিমউদ্দিন: মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে উঠে আগাম জামিন বিষয়ক মামলা।রেশন দুর্নীতি মামলায় আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন শেখ শাহজাহান। তবে সেই আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। ‘তদন্তে এই মুহূর্তে বাধা নয়’।
তা জানাল কলকাতা হাইকোর্ট।রেশন দুর্নীতি মামলায় শেখ শাহজাহানকে যাতে গ্রেফতার না করে ইডি, সেই কারণে তাঁর আইনজীবী আদালতে আবেদন করেছিলেন।তবে ডিভিশন বেঞ্চ জানায় -‘হাতে লেখা অন্য অভিযুক্তের বক্তব্য তাঁর বিরুদ্ধে গ্রহণযোগ্য। তাই তদন্তে কোনও বাধা নেই’।
এদিন মামলাকারীর আইনজীবী ডিভিশন বেঞ্চে বলেন , -‘তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে এখনও কোনও অভিযোগ নেই। গ্রেফতারির আগে ও পরে শুধু তাঁর বাড়িতে তল্লাশি হয়েছে। গত বছরের ১২ই ডিসেম্বর ইডি রেশন দুর্নীতির প্রথম অভিযোগ আনে। ১৯ ডিসেম্বর তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে আর এক অভিযুক্ত বক্তব্য রাখেন। এরপর ৫ জানুয়ারি ইডি আধিকারিকরা তাঁর বাড়িতে তল্লাশি করেন।’ এরপরই বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল , “তদন্ত চলছে।
এখনও শেষ হয়নি। আমাদের কি এতে হস্তক্ষেপ করা উচিত? একধিক অপরাধ গ্রেফতারের আগেই হয়েছে।’অপরদিকে শাহজাহানের আইনজীবীর দাবি, -‘এখন পর্যন্ত পিএমএলএ-তাঁর মক্কেল শাহজাহানের ক্ষেত্রে লাগু হয়নি। এরপর ডিভিশন বেঞ্চে ইডি-র আইনজীবী জানান , “তল্লাশি চালানো আগে শেখ শাহজাহানকে ফোন করা হয় তদন্তে সহযোগিতার জন্য। পরে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গেলে ইডি আধিকারিকদের মারধর করা হয়।
প্রথমবারের সমনে তিনি স্ত্রীর অসুস্থার কথা জানিয়ে আসেননি।” কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে শেখ শাহজাহান কে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয় সিআইডি। ৫৬ দিন গা ঢাকা দেওয়ার পর শাহজাহান গ্রেফতার হয়।মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের এজলাসে চলে শেখ শাহজাহান এর আবেদনের শুনানি।
সেখানে জামিনের বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় আর্থিক তদন্তকারী সংস্থা ইডি জানায়, -‘শাহজাহান প্রবল প্রভাবশালী। তাঁকে রক্ষা করতে উঠেপড়ে লেগেছিল রাজ্য সরকার’। ইডির আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী আদালতে আরও বলেন, -‘ হেফাজতে থাকা এক অভিযুক্তের সূত্রে আমরা শেখ শাহজাহানের নাম জানতে পেরেছি।
তার নিজের হাতে লেখা চিঠি থেকে শেখ শাহজাহানের নাম উঠে এসেছে। আমরা তল্লাশি চালাতে যাওয়ার সময় আমাদের মারধর করা হয়। আমরা আদালতের দ্বারস্থ হই। পরে আবার তল্লাশি চালানোর আগেই সব সরিয়ে ফেলা হয়েছিল’। সন্দেশখালি ঘটনা নিয়ে দশের বেশি মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টের বিভিন্ন বেঞ্চে।