পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: জম্মু কাশ্মীরের রজৌরিতে ২২ নভেম্বর ধর্মসাল বেল্টের বাজিমল এলাকায় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর সময় চার সেনাকর্মী শহীদ হন। এই চার জওয়ানের একজন কুপওয়াড়ার বাসিন্দা হাবিলদার আবদুল মাজিদও। এই অভিযানে জঙ্গিদের গুলিতে তিনিও প্রাণ হারান। মাজিদের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে তাঁর চাচা নিজেকে গর্বিত বলে মনে করেন। আবদুল মজিদের চাচা হাবিলদার মুহাম্মাদ ইউসুফ বলেন, ‘কালাকোট এলাকায় জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে মাজিদের মৃত্যুতে আমরা গর্বিত। শুধু মজিদ নয়, তাঁর ভাই লাইফ ইনফেন্ট্রির জওয়ান ২০১৭ সালে জম্মু-কাশ্মীরের ভিম্বর গলি এলাকায় জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হন। আমরা আত্মহুতি দিতে প্রস্তুত, আমাদের জীবন দেশের জন্য নিবেদিত।’
মজিদের পরিবার এলওসির জিরো লাইন এবং সীমান্ত বেড়ার মধ্যে অজোট গ্রামের বাসিন্দা। জম্মু-কাশ্মীর লাইল ইনফেন্ট্রির (জেকেএলআই) জওয়ান ইউসুফ জানান, আমরা এলওসির বাসিন্দা এবং দেশের রক্ষার কাজে নিয়োজিত সেনা পরিবার। পরিবারের ৩০ থেকে ৪০ জন সদস্য যারা ভারতীয় সেনায় চাকরি করছেন অথবা অবসর নিয়েছেন। দেশ সেবা আমাদের রক্তে রয়েছে। আমার ছেলেও সেনা জওয়ান ছিল। একজন দেশরক্ষী হিসেবে আমি গর্বিত।
মাজিদের স্ত্রী জানান, মাজিদ আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই বাড়ি ফেরার কথা ছিল, কিন্তু মাজিদের মৃত্যুর খবরে আমি নিঃশেষ হয়ে গেছি। মাজিদের স্ত্রী জানান, ‘কয়েকদিন আগেই মাজিদ আমাকে ফোর করে শীঘ্র ঘরের ফেরার কথা জানিয়েছিল। কিন্তু আমি যখন কল করলাম ওর ফোনটা বন্ধ ছিল। সন্ধ্যাবেলা সেনার তরফে আমাকে ফোনে জানানো হয় মাজিদ সংঘর্ষে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।’
অজোট গ্রামের সরপঞ্চ সুনীল কুমার শর্মা জানান, মাজিদের জন্য পুরো এলাকা গর্বিত। রাজৌরিতে মজিদ ছাড়াও সংঘর্ষে নিহত হন কর্নাটকের বাসিন্দা রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের ক্যাপটেন এমবি প্রাঞ্জল, উত্তরপ্রদেশের আগরার বাসিন্দা স্পেশাল ফোর্সের ক্যাপটেন শুভম এবং জেকে, উত্তরাখণ্ডের নৈনিতালের ল্যান্স নায়েক সঞ্জয় বিস্তও শহীদ হন।