পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: : গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে অগ্নিগর্ভ ছিল মণিপুর। বন্ধ রাখা হয়েছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় সেনা, আধা সামরিক বাহিনী। রাজ্যের সঙ্গে সমন্বয় করে নজর রাখে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রায় দীর্ঘ দুমাস পরে খুলে গেল মণিপুরের স্কুল। খুশি পড়ুয়ারা। শুরু হয়েছে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির ক্লাস। সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং বুধবার ৫ মে থেকে স্কুল খোলার কথা জানিয়েছিলেন। প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির ক্লাস শুরুর কথা বলেন তিনি। বুধবার প্রথম দিন বেশির ভাগ স্কুলে পড়ুয়াদের উপস্থিতি কম থাকলেও রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক থেকে শিক্ষকেরা। সকলের আর্জি, রোজ কয়েকঘণ্টা স্কুল খুলে রাখা হোক।
পড়ুয়াদের কথায়, ঘরে বসে থাকতে ভালো লাগে না। স্কুলে আসলে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়, ভালো লাগে। অভিভাবকেরা জানিয়েছেন, স্কুলই শিক্ষার ভিত্তি। আশা করব, রাজ্যে যেন শান্তি ফিরে আসে। তবে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তারা। পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রের বাবা লাইশ্রাম ইবোচৌবা আবার এই বিষয়ে সরকারের আশ্বাস চেয়েছেন। তিনি বলেন, আশা করব, সরকার পড়ুয়াদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে।’ তবে তিনি সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন ।
সরকারের স্কুল খোলার সিদ্ধান্তে খুশি ওয়াংখেই হাই স্কুলের শিক্ষিকা আরকে রঞ্জিতা দেবী। তিনি বলেন, ‘মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে বন্ধ স্কুল। রাজ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় অনলাইন ক্লাসও করানো সম্ভব হয়নি। তবে কিছুটা হলেও প্রভাব পড়েছে পড়ুয়াদের পড়াশোনায়। অনেক পড়ুয়াই পড়াশোনায় মন বসাতে পারছে না’। রঞ্জিতা জানিয়েছেন, বুধবার তাঁর স্কুলে উপস্থিতির হার ছিল ১০ শতাংশ। তবে পরিস্থিতির সঙ্গে সঙ্গে স্কুলে পড়ুয়াদের উপস্থিতি বাড়বে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে পড়ুয়াদের স্বার্থেই স্কুল বন্ধ রাখা উচিৎ নয়। সেইসঙ্গে অভিভাবকদের নিরাপত্তাহীনতার প্রসঙ্গে ভয়ের কোনও কারণ নেই বলেন জানিয়েছেন তিনি। রঞ্জিতা বলেন, ক্লাস চলাকালীন কোনও হিংসাত্মক ঘটনা হলে পড়ুয়াদের নিরাপত্তার দিকে খেয়াল রাখা হবে। বাড়ি যেতে দেওয়া হবে না।