পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বাংলায় ঘাসফুলের দাপটে বিজেপি মানুষের মনে জায়গা করে নিতে পারেনি। সংগঠনের সাংগঠিক দুর্বলতার বিরুদ্ধে মুখে খুলে বিজেপির বিরাগভাজন হন একদা বিজেপির নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। সেই সময় জয়প্রকাশ মজুমদারকে বলতে শোনা যায়, ঠাণ্ডা ঘরে বসে নেতাদের নিয়ে বৈঠক করে কিছু হবে না। এর পরে গেরুয়া শিবির ছেড়ে বেরিয়ে তৃণমূলে যোগদেন তিনি।
রাজ্য রাজনীতির টালমাটাল অবস্থায় উঠে আসে সতীশ ধন্দের নাম। গোয়ায় সাফল্য আনার পিছনে সতীশ ধন্দই ছিলেন অন্যতম কাণ্ডারি। এবার কি সতীশ ধন্দকে সামনে রেখে বাংলায় ঘুরে দেখাতে চাইছে বিজেপি! ১৮ জেলার দায়িত্ব পেলেন সতীশ ধন্দ।
গত সোমবার থেকে কলকাতায় তিনদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করেছিল বিজেপি। পরামর্শ দেওয়ার তিনদিনের প্রশিক্ষণ শিবির শেষে বঙ্গ বিজেপির সংগঠনেও বেশ কিছু রদবদল করা হল। ১৮টি সাংগঠনিক জেলার দায়িত্ব দেওয়া হল বিজেপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সতীশ ধন্দকে। বিজেপির নেতা অমিতাভ চক্রবর্তীর ডানা ছাটা হল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
উল্লেখ্য, অমিতাভ চক্রবর্তীকে নিয়ে দলের মধ্যে ক্ষোভ-অসন্তোষ ক্রমেই বাড়ছে। তার জেরেই এই রাজনৈতিক পট পরিবর্তন বলে মনে করা হচ্ছে।
বিজেপির মোট সাংগঠনিক জেলার সংখ্যা ৩৯। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) পদটি সাধারণত আরএসএসের তরফ থেকে দেওয়া হয়। রাজ্য সভাপতির পরই সংগঠনে সব থেকে বেশি ক্ষমতা থাকে ওই সাধারণ সম্পাদকের। এ রাজ্যে সেই পদেই ছিলেন অমিতাভ চক্রবর্তী। রাজনৈতিক মহলের অনুমান, অমিতাভর বিরুদ্ধে দলের অন্দরে ক্ষোভ বাড়তে থাকায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। প্রথমে সতীশ ধন্দকে শুধুমাত্র আসানসোল সাংগঠনিক জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এবার তিনদিনের প্রশিক্ষণ শিবির শেষে ১৮ টি জেলার দায়িত্ব দেওয়া হল তাঁকে। এই জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে বর্ধমান, বীরভূমের মতো গুরুত্বপূর্ণ জেলা।