পুবের কলম প্রতিবেদক: নারীর শিক্ষা ও জাগরণে অবিস্মরণীয় ভূমিকা গ্রহণের ঐতিহাসিক নাম বেগম রোকেয়া। মুসলিম তথা সব সম্প্রদায়ের নারী সমাজকে সর্বপ্রথম ‘তিনি’ই উজ্জীবিত করেছেন। বাংলার মুসলিম নারী সমাজকে আলোর দিশা দেখিয়েছেন। এই মহীয়সী নারী। আর তাঁর স্মরণে কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠিত হয় রোকেয়া স্মরণ। সেই সঙ্গে শনিবার সাখওয়াত মোমোরিয়াল স্কুলেও অনুষ্ঠিত হল রোকেয়া নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান।
১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন বেগম রোকেয়া। ১৯৩২ সালের এই দিনেই ইন্তেকাল করেন বাংলার নব জাগরণের অন্যতম মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়া। এক সময় বিস্মৃতপ্রায় বাঙালি এই মহান মানুষটিকে ভুলতে বসেছিল। বর্তমানে তাঁর জীবন ও আদর্শ নিয়ে কিছুটা হলেও আলোচনা হচ্ছে। ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষাব্রর্তী মানুষের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে।
তারই অংশ হিসেবে রোকেয়া প্রতিষ্ঠিত স্কুলে বেগম রোকেয়াকে নিয়েই একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সাখওয়াত মোমোরিয়াল গালর্স স্কুলে। স্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তনী, বেগম রোকেয়া উদযাপন কমিটির সদস্য এবং বর্তমান ছাত্রীরা। এদিন বেগম রোকেয়ার ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা জানান তাঁরা। একই সঙ্গে এদিন বেগম রোকেয়ার জীবন ও আদর্শ পড়ুয়াদের সামনে তুলে ধরার জন্য এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত পড়ুয়া ও বিশিষ্টরা বেগম রোকেয়ার জীবন-সংগ্রাম, শিক্ষা আন্দোলন, সাহিত্যচর্চার বিভিন্ন বিষয় এদিনের অনুষ্ঠানে উল্লে’ করা হয়।
এদিনের অনুষ্ঠানে স্কুলের ছাত্রীরা কবিতা, নৃত্য ও গীতের মাধ্যমে রোকেয়াকে স্মরণ করেন। ছাত্রীদের তৈরি রোকেয়া বিষয়ক পোস্টার লি’ে প্রদর্শন করে ছাত্রীরা।
সাখওয়াত মেমোরিয়াল গর্ভমেন্ট গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা পাপিয়া নাগ সিংহ মহাপাত্র বলেন, নারীদের শিক্ষার অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন রোকেয়া। তার পাশাপাশি তিনি নারীদের ভোটাধিকার আন্দোলনের নিয়েই লড়াই করেছেন। কোনও প্রথাগত ডিগ্রি না থাকলেও বিষয় ভাবনা, সিলেবাস প্রণয়ন ও শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে রোকেয়ার চিন্তাভাবনা ছিল অনেক উন্নত। নারীক্ষমতায়ন চাইতেন তিনি।
পাশাপাশি মেয়েদের স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে হাতের কাজের ট্রেনিংয়ের সহায়তা করতেন। এদিকে বেগম রোকেয়া ধর্মাচরণ করতেন, তাই তাঁর ভাস্কর্যের পরিবর্তে ফলক বসানোর পক্ষে অনেকে মতামত দিয়েছেন।