পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে হাওড়া থেকে এনজেপির উদ্দেশ্যে পথ চলা শুরু করেছে বন্দেভারত। যাত্রা শুরুর পর থেকেই এই সেমি হাইস্পিড ট্রেনটিতে বারবার পাথর ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে নাকি চারবার পাথর ছোড়া হয়েছে বন্দে ভারতে। কখনও বিহার থেকে আবার কখনও বাংলা থেকে পাথর ছোড়া হচ্ছে বলে সোচ্চার হচ্ছেন বিরোধীরা। বন্দে ভারতকে নিয়ে চড়ছে রাজনীতির উত্তাপ। কিন্তু রেলের পক্ষ থেকে সাফ জানানো হয়েছে এরকম কোন অভিযোগ তাঁদের কাছে নেই।
বিহারের বারসই, বাংলার কুমারডুবি, হুগলির চন্দনপুর স্টেশন থেকে পাথর ছোড়া হয় বলে অভি্যোগ। রবিবার এবং সোমবার পরপর দুদিন এই ট্রেনে পাথর ছোড়া হয় বলে দাবি করা হয়েছে।
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমাদের কাছে এ রকম কোনও খবর নেই। ট্রেনে পাথর ছোড়ার কোনও অভিযোগ আমরা পাইনি।’’ সোমবার যখন চতুর্থ দফায় বন্দেভারতে পাথর ছোড়া হয়েছে বলে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হচ্ছে তখন এই কথা বলছেন পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক।
এখানেই শেষ নয় রবিবার দুপুরে সিউড়ি থেকে আসা হুল এক্সপ্রেসেও ইট পাথর ছোড়া বলে দাবি করা হয়। জনৈক যাত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি পোস্টও করেন। তবে পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের জনসংযোগ আধিকারিক অমিতাভ চট্টোপাধ্যায় ঘটনাটি মেনে নিয়েও বলেন, ‘‘কেউ চলন্ত ট্রেন লক্ষ্য করে পাথর ছুড়েছিল, না কি রেলের লাইনে থাকা পাথর ছিটকে এসেছিল, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’’
কেন এই অভিযোগ উঠছে বারংবার। তবে কি এটা কোন মানসিক ব্যাধি। মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন করোনা অতিমারীর জেরে অনেকেই আর্থসামাজিক ভাবে বিপর্যস্ত বিগত দুবছরে। চোখের সামনে এহেন ঝাঁ চকচকে ট্রেন দেখে কেউ আঘাত করতেও পারে। এটাকে ডাক্তারি পরিভাষায় বলা হয় অ্যাক্টিং আউট বিহেভিয়ার’ তবে সম্ভাবনা যাই থাকুক না কেন রেল কর্তারা কিন্তু এখনও বন্দে ভারতে পাথর ছোড়ার ঘটনায় কোন সিলমোহর দেননি, এখনও পর্যন্ত।