পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজ্যজুড়ে স্বস্তি দেবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি। সঙ্গে থাকবে দমকা ঝোড়ো হাওয়া। কালবৈশাখীর পরিস্থিতি ও শিলা বৃষ্টির পূর্বাভাসও রয়েছে। আগামী তিন দিন ঝড় বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কমবে। তিন দিনে দুই থেকে তিন ডিগ্রি তাপমাত্রা কমতে পারে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের। বুধবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৫১ থেকে ৯১ শতাংশ।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গে আগামী ক’দিন বৃষ্টির সঙ্গে ৫০ থেকে ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত দমকা ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে। বৃহস্পতিবার ঝড়-বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমবে। শুক্র ও শনিবারে ফের ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। একইসঙ্গে উত্তরবঙ্গে বৃহস্পতি ও শুক্রবার বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে।
কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি জেলায় ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং সহ পার্বত্য এলাকায়। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গে শিলাবৃষ্টি, বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি এবং দমকা ঝড়ো হওয়া ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। সবমিলিয়ে চলতি সপ্তাহে তীব্র গরম থেকে আপাতত কিছুটা রেহাই মিলবে রাজ্যবাসীর।
আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহেই আন্দামানে ঢুকছে বর্ষা। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর জন্য অনুকূল পরিস্থিতি দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এলাকা। আন্দামানে আগাম হলেও কেরলে দেরীতে বর্ষা।
নির্ধারিত সময়ে পয়লা জুন বর্ষা ঢোকে কেরলে। এই মরসুমে বর্ষা কেরলে আসবে ৪ঠা জুন। মূলত করলে বর্ষা প্রবেশের পরই দেশের অন্যান্য রাজ্যে বর্ষা প্রবেশ করে। সেদিক থেকে বিচারে এবছর বঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করতে জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।