পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বালেশ্বরের অভিশপ্ত ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২৭৫ জনের। আহত প্রায় হাজারের বেশি। ওড়িশার এইমস-এ চলছে আহতদের চিকিৎসা। সেই সঙ্গে মর্গে রাখা হচ্ছে মৃতদেহ। কিন্তু দেহের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে মর্গে আর দেহ রাখা জায়গা নেই। এইমস দেহ রাখার জন্য মর্গে ৩৫টি জায়গা রয়েছে। এদিকে দেহের সংখ্যা প্রায় ১৯৩টি। ফলে দেহগুলি রাখা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় জাহাজে করে আরও তিনটি রেফ্রিজারেটার আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেখানে রাখা হবে দেহগুলিকে। সেখানে দেহগুলিকে আগামী ৬ মাস সংরক্ষিত করে রাখা হবে। এর মধ্যে পরিজনের দেহ শনাক্ত করতে পারলে তাদের হাতে দেহগুলি তুলে দেওয়া হবে।
ওড়িশা সরকার জানিয়েছে, নর্থ ওড়িশা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র হলঘরে যে অস্থায়ী মর্গ তৈরি হয়েছে, সেখানে এখনও অন্তত ১২০টি মৃতদেহ আছে। তবে গতকাল ৪০টি দেহ শণাক্ত করে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলি সংরক্ষণের ব্যবস্থা হচ্ছে।
এইমসের কর্তা আশুতোষ বিশ্বাস বলেছেন, “ওড়িশার কোনও হাসপাতালেই এতগুলি দেহ একসঙ্গে রাখার কোনও ব্যবস্থা নেই। তাই পারাদ্বীপ থেকে পাঁচটি কন্টেনার আনা হচ্ছে এইমসে। একেকটি কন্টেনারে থাকবে ৩০ থেকে ৪০টি দেহ। অর্থাৎ দেহ শনাক্ত করতে দেরি হলেও যাতে সেগুলি সুরক্ষিত রাখা যায়, সেই ব্যবস্থাই করছে এইমস।”