পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ গত ২১ মার্চ বীরভূমের রামপুরহাট থানার অন্তর্গত বগটুই গ্রামে খুন হন বরশাল গ্রামের তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ। সেই খুনের প্রতিহিংসার ঘটনায় জ্বলে-পুড়ে দগ্ধ হতে হয় ১০ জনকে। তবে এই ঘটনার ক্ষত কাটতে না কাটতেই ফের এক তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের রহস্য মৃত্যুর ঘটনা ঘটল বীরভূমে।
তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বাঁধলো এলাকায়। মৃতের নাম কাজী নুরুল হাসান ওরফে আকাশ। বুধবার রাতে মল্লারপুর থানার খড়াসিনপুরে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতদেহের কাঁধের পিছনে ক্ষত চিহ্ন পাওয়া যায়। এছাড়াও নাক ও কানে রক্ত ক্ষরণের চিহ্ন পাওয়া যায়। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে বর্ধমান নিয়ে যাওয়ার পথে আকাশের মৃত্যু হয়, বলে জানা গেছে।
পরিবারের দাবি, কোনও দুর্ঘটনা নয়, তাকে খুন করা হয়েছে। ময়ূরেশ্বর দুই ব্লকের অন্তর্গত ময়ূরেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ‘৯’ নম্বর সংসদের সদস্য ছিলেন কাজী নুরুল হাসান ওরফে আকাশ। জানা গেছে, তিনি পর পর দুইবার গ্রাম পঞ্চায়েতের সংসদ হন।
পরিবার সূত্রের খবর, বুধবার বিকাল বেলায় বাড়ি থেকে বের হয়ে মল্লারপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন কাজী নুরুল হাসান। এরপর রাত হয়ে যাওয়াতে বাড়ি না ফেরার কারণে তার স্ত্রী মৌসুমী খাতুন তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন।পরে পুলিশের তরফ থেকে কাজী নুরুল হাসানের বাড়িতে ফোন করে জানানো হয়, আশঙ্কাজনক তাকে অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মৃতের স্ত্রী মৌসুমী খাতুন দাবি করেন, তাঁর স্বামীকে খুন করা হয়েছে। কারণ কয়েকদিন আগে সামসের সেখ ও আপেল সেখ সহ কয়েকজন বাড়ি চড়াও করে এবং তাঁর স্বামীকে মারতে আসে কয়েকজন মিলে। তারাই খুন করেছে। মৌসুমী বলেন, রাত দেড়টা নাগাদ স্বামীর মোবাইলে ফোন করলে, পুলিশ ফোন ধরে জানায় যে আমার স্বামীর দুর্ঘটনা ঘটেছে। সঙ্গে সঙ্গে আমি ঘটনাস্থলে যায়। আমার স্বামীকে প্রথমে মল্লারপুর হাসপাতাল এবং তারপর রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আমার স্বামীর চশমাতে একটা আঁচড় লাগেনি। খুন করা হয়েছে তাঁকে।জানা গেছে, পঞ্চায়েতের সেভেন ম্যানন কমিটি করে, মৃত আকাশের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়। জমি, বালি নিয়ে এলাকায় গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব ছিল দীর্ঘদিনের। বগটুই গ্রামে একই কারণে খুন হতে হয় তৃণমূল উপপ্রধানকে। এবার হল ময়ূরেশ্বরে।