ভোপাল: রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারিং পাঠ্যসূচিতে মহাভারত ও রামায়ণ অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকার৷ ঘোষণার পর মঙ্গলবার ভোপালের কংগ্রেস বিধায়ক আরিফ মাসউদ দাবি করেছেন যে, নতুন শিক্ষানীতির পাঠ্যসূচিতে কুরআন এবং অন্যান্য ধর্মগ্রন্থও অন্তর্ভুক্ত করা উচিত৷ মাসউদের ভাষায়, তারা রামায়ণ এবং মহাভারতের কথা উল্লেখ করেছে৷ তাদের উচিত কুরআন, বাইবেল এবং গুরু গ্রন্থ সাহেবকেও সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করা। ভারত এমন একটি দেশ যা সকল ধর্মকে একসঙ্গে নিয়ে চলে।এটি একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। এটি শুধু সংবিধানকে রক্ষা করবে না বরং সরকারের উদ্দেশ্যকেও স্পষ্ট করবে৷ এদিকে, ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) কংগ্রেস বিধায়কের মন্তব্যকে ‘বাছাইকৃত ধর্মনিরপেক্ষতা’ বলে বর্ণনা করেছে। বিজেপি বোঝাতে চেয়েছে, বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে কংগ্রেসের ধর্মনিরপেক্ষতা চাগাড় দিয়ে ওঠে৷
১৩ সেপ্টেম্বর মধ্যপ্রদেশের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী মোহন যাদব ঘোষণা করেছিলেন যে নতুন শিক্ষানীতি, ২০২০ অনুসারে প্রথম বর্ষের স্নাতক শিক্ষার্থীদের জন্য রামায়ণ, মহাভারত এবং রামচরিতমানসকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যাদব বলেছিলেন, কেউ যদি রামের চরিত্র এবং সমসাময়িক কাজ সম্পর্কে জানতে চায় সে ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তি হতে পারে৷ অন্যদিকে, তুলসীদাসের রামচরিতমানসে বিজ্ঞান, সংস্কৃতি, সাহিত্য এবং শৃঙ্গাররস রয়েছে (ভারতীয় শাস্ত্রীয় শিল্পরূপে প্রেম ও সৌন্দর্যের ধারণা)। এটা কোনও বিশেষ ধর্মের কথা নয়। আমরা একটি বিষয় হিসাবে উর্দু গজলও চালু করেছি বলে তিনি জানান৷