পুবের কলম প্রতিবেদক: বছরের বিভিন্ন উৎসব কিংবা ভ্রমণ মরসুমে রেল যাত্রীর টিকিটের চাহিদার তুলনায় ট্রেনের আসন সংখ্যা কম থাকায় চরম বিশৃঙ্খলার মুখে পড়তে হয় রেল যাত্রীদের। যাত্রীদের ভিড় সামলাতে রেলকর্মী-আধিকারিক সহ রেলের নিরাপত্তা রক্ষীদেরও হিমসিম খেতে হয়।
অনেক ক্ষেত্রে সংরক্ষিত কামরায় বৈধ ‘কনফার্ম’ টিকিট থাকা সত্বেও ভিড়ের চাপে অনেক যাত্রীই ট্রেনে চাপতে পারেন না।এমনকী উৎসবের সময় ট্রেনে উঠতে গিয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছিল রেলের বিরুদ্ধে।
বৈধ টিকিট থাকা সত্বেও রেলে ভ্রমণের ক্ষেত্র বিভিন্ন সময় চরম বিশৃঙ্খলার বেশ কিছু অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবার বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেল মন্ত্রক।
সম্প্রতি রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ঘোষণা করেছেন, আগামী পাঁচ বছরে আরও তিন হাজার নতুন ট্রেন চালু করা হবে দেশে।
রেল মন্ত্রক সূত্রে নাকি এমনটাও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, আগামী ২০২৭ সালের মধ্যে রেলের টিকিট ব্যবস্থা এমন ভাবেই করা হবে যে, কোনও যাত্রী রেল যাত্রার টিকিট কাটলে তা কনফার্মই হবে।
উল্লেখ্য, উৎসবের মরশুমে ভিড়ে উপচে পড়া ট্রেনের ছবি ভাইরাল হয়েছিল সামাজিক গণমাধ্যমে। অভিযোগ উঠেছিল, ভারতীয় রেল নাকি বিভিন্ন ট্রেনে নন-এসি ও জেনারেল কামরার সংখ্যা কমিয়েছে। রেলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, ‘এইসব অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা।’
রেলমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, কোনও ট্রেনেই কামরার সংখ্যায় বদল আনা হয়নি। অর্থাৎ, আগে যত সংখ্যক নন-এসি এবং সাধারণ কামরা থাকতো, বর্তমানে তার কোনো পরিবর্তন হয়নি। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব আরও বলেন, কিছু রিপোর্ট বেরিয়েছে, যাতে দাবি করা হচ্ছে, ট্রেনে স্লিপার ক্লাস কামরার সংখ্যা কমানো হয়েছে, যার জেরে যাত্রীরা দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছেন। এই ধরণের অভিযোগকে ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা বলে রেল মন্ত্রী আরো বলেন, এই ধরনের সব দূরপাল্লার ট্রেনেই ২২টি করে কামরা থাকে। এবং বিভিন্ন শ্রেণির কোচের সংখ্যাও একই রাখা হয়েছে। তবে, রেলের যাত্রীক্ষমতা বাড়াতে বড় পদক্ষেপ করতে চলেছে ভারতীয় রেল। আগামী পাঁচবছরে তিন হাজার নতুন ট্রেনে ট্র্যাকে নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের।