পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: রাহুল গান্ধির বাড়িতে রবিবার হাজির হয় অমিত শাহের পুলিশ। ভারত জোড়ো যাত্রা চলাকালীন দেশের মহিলাদের যৌন হেনস্তা নিয়ে রাহুল যে মন্তব্য করেছিলেন প্রায় দেড় মাস বাদে তাঁর বাড়ি গিয়ে এর ব্যাক্ষা চাইল দিল্লি পুলিশ। এদিন দিল্লি পুলিশের কাছে সময় চেয়ে নেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। পুলিশকে রাহুল বলেন, দীর্ঘ ভারত জোড়ো যাত্রায় বহু মহিলা তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন। সব তথ্য মনে নেই। তাই পুলিশের হাতে সব তথ্য তুলে দিতে তাঁর কিছুটা সময় লাগবে। রাহুলের বাড়িতে দিল্লি পুলিশের হাজির হওয়াকে নাটক বলেছেন জয়রাম রমেশ।
তিনি বলেছেন, ‘দিল্লি পুলিশ নাটক করছে। আমরা আদানি নিয়ে প্রশ্ন তুলে ওদের ব্যতিব্যস্ত করে তুলেছি, সেকারণেই রাহুলকে হেনস্তা করা হচ্ছে।’ দিল্লি পুলিশ রাহুলের বাসভবনে হাজির হওয়ার পর এদিন এআইসিসি-র অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন করেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ, অশোক গেহলট ও অভিষেক মনু সিংভি। তাদের প্রত্যেকেই অভিযোগ প্রতিহিংসার রাজনীতি হচ্ছে।
‘দেশে মহিলারা এখনও এখানে যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন।’ ৩০ জানুয়ারি শের-ই-কাশ্মীর স্টেডিয়ামে একথা বলেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি। কংগ্রেস সাংসদ আরও বলেছিলেন,‘আমি যখন ভারত জোড়োয় হাঁটছিলাম, তখন হয়ত আপনারা দেখেছেন বেশ কিছু মহিলা আমার কাছে এসে কাঁদছিলেন। সেই মহিলাদের মধ্যে অনেকেই বলেন, তাঁরা ধর্ষিতা হয়েছে।
কেউ বলেন, তাঁরা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আমি জবাবে তাদের বলি একথা আমি কি পুলিশের কাছে জানাব? ওই মহিলারা জবাবে বলেন, না । পুলিশকে একথা জানাবেন না। এই দুঃখের কথা আমরা আপনার কাছে জানাচ্ছি, কিন্তু সে কথা পুলিশকে জানাবেন না। তাতে আমাদের বিপদ আরও বাড়বে। এটাই আমাদের দেশের এখন বর্তমান অবস্থা।’
গত শুক্রবার আচমকাই দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে রাহুলকে নোটিশ পাঠানো হয়। ওই মহিলাদের বিস্তারিত তথ্য জানতে চাওয়া হয়। দিল্লি পুলিশের বক্তব্য, কংগ্রেস সাংসদকে সেই মন্তব্যের ব্যাক্ষা দিতে হবে। ঠিক কারা কারা রাহুলের কাছে এই ধরণের অভিযোগ করেছেন তাঁদের তালিকা দিতে হবে। রবিবার সকালেই রাহুলের ১২ তুঘলক রোডের বাসভবনে যান দিল্লি পুলিশের আধিকারিকরা।
পুলিশ বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন দিল্লির স্পেশ্যাল কমিশনার সাগরপ্রীত হুডা। প্রায় ঘণ্টাখানেক রাহুলের বাড়ির বাইরে অপেক্ষা করার পর কংগ্রেস সাংসদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পায় পুলিশ। বৈঠক শেষে দিল্লি পুলিশের শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘রাহুলজি বলেছেন দ্রুত সব তথ্য দেবেন। উনি জানিয়েছেন দীর্ঘ পথে অনেকের সঙ্গে কথা হয়েছে, সেই তথ্য একজোট করতে সময় লাগবে। যত দ্রুত সম্ভব উনি তথ্য দেবেন। তারপরই আমরা ওই মহিলাদের নিরাপত্তা দেব এবং আইনি ব্যবস্থা নেব।’