পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ কংগ্রেস সভাপতি পদের দায়িত্ব কে সামলাবানের সেই জল্পনা-কল্পনা আজকের নয়। বহুবার সভাপতি হিসেবে রাহুল গান্ধির নাম আসলেও বিভিন্ন কারণে সেই প্রস্তাব নাকচ করেন তিনি। দলের অন্দরে এই বহুবার বৈঠক হলেও কে নেবেন সভাপতির দায়িত্ব সেইভাবে কংগ্রেস সেভাবে কোনও কিছুই জানাতে পারেনি বিগত দিনগুলিতে। এই পরিপ্রেক্ষিতে বহুবার সভাপতি পদে নির্বাচনও স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে একাধিকবার। তবে ফের একবার রাহুল গান্ধিকেই কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চেয়ে প্রস্তাব গৃহীত হল যুব কংগ্রেসে। সোমবার রাতের বৈঠকে এই প্রস্তাব পাস হওয়ার কথা জানানো হয়েছে যুব কংগ্রেসের তরফ থেকে। সংগঠনের সভাপতি শ্রীনিবাস বি ট্যুইট করে সেই প্রস্তাবের একটি কপি সামনে এনেছেন। তিনি জানিয়েছেন জাতীয় কংগ্রেসের সংবিধান মেনেই দলের সভাপতি পদে নিয়োগ করা উচিৎ রাহুল গান্ধিকে। প্রসঙ্গত, গোয়ার রাজধানীর পানাজির কাছে একটি রিসর্টে অনুষ্ঠিত হয় ভারতীয় যুব কংগ্রেসের দু’দিনের জাতীয় নির্বাহী সভা। আর সেই সভার দ্বিতীয় দিনে এই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। ওই বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন যুব কংগ্রেসের সভাপতি শ্রীনিবাস বিভি, যুব কংগ্রেসের দুইনচার্জ এবং এআইসিসির যুগ্ম সচিব কৃষ্ণা আল্লাভারু। শ্রীনিবাস বিভি একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, ‘আগামিদিনে, যুব কংগ্রেস রাস্তায় দেশের স্বার্থে সমস্ত জ্বলন্ত ইস্যুতে লড়াই করবে এবং এই সংগ্রাম মানুষের কাছে নিয়ে যাবে।’
রাহুল গান্ধি ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধির পুত্র। দিল্লির সেন্ট কলম্বাস স্কুলে ভর্তি হন পরবর্তীকালে দুন স্কুলে পড়েন ১৯৮১ থেকে ১৯৮৩ পর্যন্ত। ১৯৮৯ সালে দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজে স্নাতক স্তরে ভর্তি হন ও পরবর্তীতে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়-এ পড়াশোনা করতে চলে যান। ১৯৯১ সালে তার বাবা, ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী-র হত্যা হলে নিরাপত্তাজনিত কারণে তাকে রাউল ভিন্সি ছদ্মনামে ফ্লোরিডা-র রোলিন্স কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই ১৯৯৪ সালে কলা বিভাগে স্নাতক পাশ করেন। পরবর্তীতে ১৯৯৫ সালে দর্শনে স্নাতকোত্তর করতে ট্রিনিটি কলেজ, কেমব্রিজ-এ ভর্তি হন।
২০১৭-তে সোনিয়া গান্ধির কাছ থেকে কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন রাহুল। কিন্তু ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে দলের বিপর্যয়ের সভাপতির পদ ছেড়ে দিয়েছিলেন। সভাপতি পদ ছাড়ার সময় পদত্যাগপত্রে রাহুল গান্ধি বলেছিলেন যে গান্ধি পরিবারের বাইরে এমন কোনও কাউকে কংগ্রেসের নেতৃত্ব দিতে হবে। কংগ্রেসের এই টানাপোড়েনে সোনিয়া গান্ধি যিনি ১৯ বছর ধরে কংগ্রেসের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তিনিই অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান হিসাবে ফিরে আসতে সম্মত হন।