দেবশ্রী মজুমদার, বোলপুর: ৫১ নাবালিকার কুমারী পুজো অনুষ্ঠিত হল কঙ্কালীতলায়। সোমবার বীরভূমে পঞ্চ পীঠের অন্যতম সতীপীঠ কঙ্কালীতলা মন্দির চত্বরের প্রাচীন বট বৃক্ষের নীচে এই কুমারী পুজোর আয়োজন করা হয়।
উল্লেখ্য, ৪৭ বছর আগে নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের ওরফে লালা বাবা এবং তার পরিবারের সদস্যরা এই পুজোর সূচনা করেছিলেন। বিগত ২ বছর ধরে করোনার কারণে জৌলুসহীন হয়ে পড়ে এই পুজো। তবে এবছর কোভিডবিধি মেনে এই পুজো হয়।
উৎসব উপলক্ষ্যে, বীরভূম জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাবা-মায়েরা তাদের ৪ থেকে ৯ বছরের কন্যাদের নিয়ে আসেন। তাদের প্রতিমা রূপে সাজিয়ে তোলা হয়। প্রথমে কঙ্কালীতলার পবিত্রকুন্ডতে তাঁদের স্মান করানো হয়। তারপর প্রাচীন বট বৃক্ষের নিচে বৃত্তের আকার সারিতে বাসানো হয়। এভাবেই হোমযজ্ঞের মধ্য দিয়ে পূজিতা হয় কন্যারা।
৫১ সংখ্যা নিয়ে নাবালিকাকে পূজিত হওয়ার বিষয়ে পুজো উদ্যোক্তারা বলেন, সতী ৫১ খন্ডে খন্ডিত হয়েছিল, সেকারণে ৫১ নাবালিকা এখানে দেবী রূপে পূজিত হন। সাধারণ আমরা দুর্গাপুজো চলাকালীন অষ্টমীর তিথিতে অন্যান্য পীঠস্থানে কুমারী পূজিত হন। তবে কঙ্কালীতলা মন্দিরে প্রাঙ্গণে তৃতীয় দিন অর্থাৎ দশমীর তিন দিন এই পুজো হয়।
কুমারী পুজো নিয়ে আরও ভিন্ন মতামত আছে, প্রাচীন কাল থেকে ভারতীয় সংস্কৃতিতে নারীরা দেবী রূপে পূজিত হন। এই পূজার্চ্চনার মধ্য সমাজের সামনে তুলে ধরা হয় ‘শিশুকন্যাকে ভ্রূণ হত্যা নয়।’