পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বিহারে ‘সংরক্ষণ’কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল পটনা হাই কোর্টে। বিহার বিধানসভায় অনগ্রসর শ্রেণী, অত্যন্ত অনগ্রসর শ্রেণী, তফসিলি জাতি এবং তফসিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষণ বর্তমান ৫০ শতাংশ থেকে ৬৫ শতাংশে বৃদ্ধিতে সাম্প্রতিক সংশোধনীকে চ্যালেঞ্জ করে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে হাই কোর্টে। আবেদনকারী গৌরব কুমার ও নমন শ্রেষ্ঠা বলেছেন, এই আইন সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সম-অধিকারের নীতির পরিপন্থী, এটি সংবিধানে প্রদত্ত মৌলিক অধিকারেরও লঙ্ঘন করছে।
সম্প্রতি বিহারে তফশিলি জাতি, তফশিলি উপজাতি এবং অন্যান্য পিছিয়ে পড়া জনজাতির জন্য বেড়েছে সংরক্ষণের কোটা। ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে এই সংরক্ষণ করা হয়েছে ৬৫ শতাংশ। বিহার বিধানসভা এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। বিহারে নীতিশ কুমার সরকারের উদ্যোগে জাতিগত জনগণনার পর এই সিদ্ধান্ত হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি চাকরি – সব ক্ষেত্রেই এই কোটার ভিত্তিতেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। নতুন বিল অনুসারে তফশিলি জাতির ক্ষেত্রে ১৬ শতাংশ সংরক্ষণের কোটা বেড়ে হবে ২০ শতাংশ। তফশিলি উপজাতির ক্ষেত্রে সংরক্ষণের কোটা আগের তুলনায় দ্বিগুণ করা হবে। এছাড়া অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়াদের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ কোটা ১৮ শতাংশ থেকে বেড়ে হবে ২৫ শতাংশ এবং অন্যান্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণির ক্ষেত্রে সংরক্ষণ কোটা ১২ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৫ শতাংশ হবে। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বিহার বিধানসভার অধিবেশনে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে বলেন, পিছিয়ে পড়াদের অধিকার দিতে আমাদের সরকার বদ্ধপরিকর। গত ২১ নভেম্বর, বিহারের রাজ্যপাল রাজেন্দ্র প্রসাদ আরলেকার সংরক্ষণ সংশোধনী বিলকে সম্মতি দিয়েছেন যা শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন রাজ্য বিধানসভার উভয় কক্ষে সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়েছিল। পরে বিহার সরকার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। রাজ্য সরকার সংবিধানের ৯ তম তফসিলে সরকারি চাকরি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণের কোটা বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রকে অনুরোধ করেছে।