(হাইলাইটস)
একের পর এক মামলা ও একাধিকবার গ্রেফতারের চেষ্টার পরও এতদিন ধরা-ছোঁয়ার বাইরে ছিলেন ইমরান খান। তাই পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর কাছে একমাত্র উপায় ছিল পিটিআই চেয়ারম্যানকে আটক করে নির্বাচনের বাইরে রাখা। তবে গ্রেফতারের পর ইমরান খানের জনপ্রিয়তা আরও বেড়ে গেল।
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় দুই সপ্তাহের জামিন পাওয়ার পর আদালত ত্যাগ করে লাহোরের জার্মান পার্কের বাসভবনে ফিরলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান। আদালত থেকে বের হয়ে সবকিছুর জন্য তিনি দায়ী করেছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে।
শুক্রবার ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত আলাপ করেন পিটিআই প্রধান। বিচার বিভাগ তার পক্ষে থাকলেও নিরাপত্তা সংস্থাগুলো তার বিরুদ্ধে কাজ করছে, এমন ধারণা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে ইমরান বলেন, ‘এটি নিরাপত্তা সংস্থা নয়। এটা একজন মানুষ, সেনাপ্রধান।
সেনাবাহিনীতে গণতন্ত্র নেই।’ তিনি বলেন, যা কিছু ঘটছে, তার জন্য একজনই দায়ী, তিনি হচ্ছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান। সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে ইমরান বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে যা যা হচ্ছে; তাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও সেনাসদ্যদের আমি দোষ দেব না। তবে একজনকে অবশ্যই দায়ী করব। আর তিনি হলেন সেনাপ্রধান। পাকিস্তান সামরিক বাহিনীতে এখন গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। সম্প্রতি সামরিক বাহিনী যে অপমানের শিকার হল তার দায়ও সেনাপ্রধানকে নিতে হবে।’
গত মঙ্গলবার ইমরান খানকে আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার করা হয়। এরপর নানা নাটকীয়তা শেষে শুক্রবার তাকে জামিন দেয় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। এরপর তিনি তার লাহোরের বাসভবনে ফিরলেন।