পুবের কলম প্রতিবেদক: আইন মেনে যোগ্যদের চাকরি হবে। এ কথা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতিও সাংবাদিক সম্মেলন করে বার বার একই কথা জানিয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী ও পর্ষদ সভাপতির বক্তব্যে আমল না দিয়ে সল্টলেকের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন চাকরি প্রার্থীরা।
এ দিকে সল্টলেকে কিছু জায়জায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে তোয়াক্কা না করে পর্ষদের সামনে আন্দোলবে বসেন চাকরি প্রার্থীরা।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে পুলিশি অভিযানে আন্দোলন উঠে যায়। তবে শুক্রবার সকাল থেকে করুনাময়ী, কলেজ স্কোয়ার, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সহ কলকাতার একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ কর্মসূচী চলতে থাকে। এদিন দুপুরেও রণক্ষেত্র চেহারা নেয় করুণাময়ী চত্বর, উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের সামনে।
এদিকে ২০১৪ ও ২০১৭ টেট উত্তীর্ণদের তুলে দেয় পুলিশ। কিন্তু শুক্রবার নতুন করে ওই এলাকায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে শামিল হন ২০১৪ সালের টেটের দু’বার ইন্টারভিউয়ে অংশগ্রহণকারী অনুত্তীর্ণদের একাংশ। আর প্রার্থীদের এই আন্দোলনকে ভালো চোখে দেখছে না পর্ষদ।
আইন মেনে বিক্ষোভ না দেখানোয় আন্দোলনকারীদের টেনে হিঁচড়ে তুলে দেয় পুলিশ, চ্যাংদোলা করে কয়েকজনকে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী। তবে শুক্রবার ভোর নাগাদ অসুস্থদের হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ের দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
এদিকে বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, চাকরি দিতে হবে। তাছাড়া বিক্ষোভকারীদের অনেকেই অসুস্থ হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসা না করেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন। তাঁদের আরও অভিযোগ, পুলিশি ‘বলপ্রয়োগে’ টেট আন্দোলনকারীদের জোর করে তুলে দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের অধিকাংশই এসএফআই-ডিওয়াইএফআই-এর সমর্থক রয়েছেন।
প্রার্থীদের বিক্ষোভ তুলে দেওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন ডিওয়াইএফআই নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। পরে তাঁদের টেনেহিঁচড়ে সরানো হয়। দু’পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি বেধে যায়।
এ দিকে করুণাময়ীতে আন্দোলন তোলার জেরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভে যুব মোর্চা। করুণাময়ী থেকে বিক্ষোভ মিছিল নতুন করে উত্তেজনা ছড়ানোর পর থেকেই কড়া নিরাপত্তা করুণাময়ীতে। গোটা এলাকায় বিশাল পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ধরপাকড় চলে।