পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বিক্ষিপ্ত ঘটনার মধ্যে দিয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সম্পন্ন হল ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন। আর এদিনই দিল্লিতে আদি মহোৎসবে যোগ দিয়ে ত্রিপুরার তৈরি পাগড়ি পরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁকে সেই পাগড়ি পরিয়ে দেন কেন্দ্রীয় আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রী অর্জুন মুণ্ডা। এদিনের এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ত্রিপুরার পাগরি পরে সেই রাজ্যের ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা।
এই অবস্থার মধ্যেই নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে কমিশন ভোটগ্রহণ চলাকালীন ট্যুইটারে ভোট চাওয়ার জন্য কংগ্রেস এবং বিজেপির রাজ্য ইউনিটগুলির পাশাপাশি বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক দিলীপ সাইকিয়াকে নোটিশ জারি করেছেন। কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, নির্বাচনের আগে ৪৮ ঘণ্টা নীরবতা সময় পালনের বিধি ভেঙে ট্যুইটে ভোটের আবেদন করা হয়েছে।
এদিকে এই পরিস্থিতিতে দিল্লিতে আদি মহোৎসবে প্রধানমন্ত্রীর পাগরি পরে অনুষ্ঠানে যোগদান নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। বরাবরই প্রধানমন্ত্রীর পোশাক প্রীতি থেকে পছন্দের পাগড়ি মানুষের নজর কেড়েছে। যে বছর যে রাজ্যে নির্বাচন থাকে, সেই রাজ্যেরই কিছু না ব্যবহার করে থাকেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে অসমের গামছা থেকে উত্তরাখণ্ডের ব্রহ্মকমল টুপি ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এবারেও তার অন্যথা হল না। ত্রিপুরা রাজ্যের নির্বাচনের দিনই মোদি পরলেন সেই রাজ্যেই তৈরি পাগড়ি।
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় হাই ভোল্টেজ নির্বাচন। ভোটে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় বিজেপিকে কড়া টক্কর দিচ্ছে তিপ্রা মথা। সেই ভোটের আবহেই এই ধরনের পাগড়ি পরে ত্রিপুরার আদিবাসী সমাজকে বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। দিল্লির অনুষ্ঠান থেকেই মোদি বলেন, ভারতে ঐতিহ্যবাহী পণ্যের চাহিদা বেড়েছে। বিশেষ করে আদিবাসী সম্প্রদায়ের তৈরি চাহিদা ক্রমশই বেড়ে চলেছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পণ্য বিদেশেও রফতানি করা হচ্ছে। দ্রুতহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে বাঁশের পণ্যের চাহিদা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগের সরকারের শাসনকালে বাঁশ কাটা এবং এর ব্যবহার আইনত নিষিদ্ধ ছিল। আমরা বাঁশকে ঘাসের ক্যাটাগরিতে নিয়ে এসেছি এবং এর উপর সমস্ত নিষেধাজ্ঞা তুলে দিয়েছি। এর ফলে বাঁশের তৈরি পণ্য শিল্পের আকার নিয়েছে।
এদিন সকালেই ত্রিপুরায় নির্বাচন নিয়ে ট্যুইট করে সকলকে ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বান জানান তিনি। ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘গণতন্ত্রের এই উৎসবে অংশগ্রহণের জন্য ত্রিপুরার সমস্ত মানুষদের আবেদন জানাচ্ছি। বিশেষ করে রাজ্যের যুব প্রজন্মকে ভোট দেওয়ার আর্জি জানাচ্ছি।’ প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ত্রিপুরার মানুষ ডবল ইঞ্জিন সরকারকেই চায়।