পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: অসমের মতো মণিপুরেও রাষ্ট্রীয় নাগরিকপঞ্জী বা এনআরসি প্রস্তুত হবে। এরজন্য নাগরিকরে বায়োমেট্রিক রেকর্ডিং প্রক্রিয়া আরও এক বছরের জন্য সম্প্রসারিত করতে কেন্দ্র সরকারের কাছে আর্জি রেখেছে মণিপুরের এন বীরেন সিং এর সরকার। যা এনআরসি প্রস্তুতের প্রাথমিক ধাপ।
ঘটনা হচ্ছে, অসমে এআরসি নবায়নের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। যা এখনও গৃহীত হয়নি। কিন্তু মণিপুরে ওই রাজ্যের সরকারই কেন্দ্রের সরকারই কেন্দ্রের অনুমতি সাপেক্ষে এই কাজটি করতে চলেছে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে। মেইতেই ও কুকি উপজাতিদের মধ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যেই সরকারের এমন সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং-সহ মেইতেই সংগঠনগুলোর একটাই ভাষ্য হচ্ছে, মায়ানমার থেকে কুকিরা এসে মণিপুরের জমি দখল করছে। আর এনআরসি-র পাশাপাশি মণিপুর সরকার মায়ানমারের সঙ্গে ১৬ কিলোমিটার মুক্ত সীমান্ত চলাচল অঞ্চল ছিল; তাও সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। শুধু সীমানা পারাপার বন্ধ করা নয়, তা যাতে পাকাপাকি ভাবে বন্ধ করা যায়, সেজন্য কেন্দ্রকে অনুরোধ করেছে মণিপুর সরকার।
প্রসঙ্গত, মায়ানমারের সঙ্গে বারতের এই মুক্ত চলাচল চুক্তি রয়েছে। এই চুক্তির ফলে এক দেশের নাগরিক অন্য দেশের অভ্যন্তরে ১৬ কিলোমিটার বিনা পাশপোর্ট ভিসায় যেতে পারেন। এতে উপকৃত হন কুকিরা। কারণ ভারতের মণিপুরের মতো মায়ানমারও জো-চিন-কুকি সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস রয়েছে। মিজোরামেও রয়েছে এমন ব্যবস্থা। মায়ানমারেও প্রচুর সংখ্যক মিজো সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছেন। এদের মধ্যে প্রায় ৩০ হাজার মিজো মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর মিজোরামে আশ্রয় নিয়ে আছেন।