পুবের কলম প্রতিবেদক: এবার রাজভবন থেকেও নিজের কাজের জন্য সুনাম অর্জন করলেন রাজ্যের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী তথা বিশিষ্ট চলচিত্রকার ব্রাত্য বসু। বৃহস্পতিবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের ভূয়ষী প্রশংসা করলের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
পাশাপাশি ব্রাত্য বসুর পরিচালনায় সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘হুব্বা’ সিনেমার চরিত্র এবং চলচিত্রায়নের ব্যাপারেও বিস্তারিত জানার পর হুব্বা সিনেমাটি দেখারও ইচ্ছে প্রকাশ করেন রাজ্যপাল বোস। এমনকী, নন্দন প্রেক্ষাগৃহে ওই সিনেমা দেখার আগ্রহের কথাও জানান তিনি। এদিন ব্রাত্য বসুর কাজেরও প্রশংসা করে রাজ্যপাল বলেন, ব্রাত্য বসু-কে কেরলের মানুষও চেনেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য রাজভবনে গিয়েছিলেন দলের বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি।ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী তথা বিশিষ্ট চলচিত্র নির্মাতা ও নাট্য ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক ব্রাত্য বসু। সম্প্রতি ব্রাত্য বসুর পরিচালনায় মুক্তি পেয়েছে ‘হুব্বা’ সিনেমাটি। ওই সিনেমায় মুখ্য চরিত্র হুব্বার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত অভিনেতা মুশারফ করিম। কয়েক বছর আগে কলকাতা লাগোয়া শহরতলী কোন্নগর ও রিষড়া এলাকার গঙ্গা তীরবর্তী বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকদের থেকে তোলা আদায়ের মাধ্যমেই ধীরে ধীরে অপরাধ জগতে প্রবেশ করে শ্যামল দাস দাস ওরফে হুব্বা শ্যামল। শ্যামল দাসের বাবা ছিলেন জুট মিলের শ্রমিক।
কারখানার সামান্য শ্রমিক পরিবারের সন্তান শ্যামল দাস ওরফে হুব্বা অপরাধ জগতে প্রবেশের পর ধীরে ধীরে একসময় হুগলি-হাওড়ার অপরাধ জগৎকে নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে।
অবশেষে ২০০৫ সালে একটি খুনের ঘটনায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নির্দেশে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শহরতলীর একজন অপরাধীর ক্রমাগত উত্থান এবং শেষ পরিণতি নিয়েই নির্মিত হয়েছে হুব্বা সিনেমাটি।