কৌশিক সালুই, বীরভূম: বেআইনি মজুদ কয়লা উদ্ধার করতে গিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি বীরভূমের লোকপুর থানা এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার নাকরাকোন্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের নওপাড়া গ্রামে। দুষ্কৃতীদের ছোড়া ইটপাটকেলে জখম কয়েকজন পুলিশ কর্মী। ভাঙল পুলিশের কয়েকটি গাড়ির কাঁচ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন লোকপুর থানার পুলিশ নওপাড়া গ্রামে বেআইনি মজুদ কয়লা বাজেয়াপ্ত করতে অভিযান চালায়। আর তখনই দুষ্কৃতীদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। বেআইনি কারবারীদের ছোড়া ইটপাটকেলে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন। পাশাপাশি ভেঙেছে কয়েকটি পুলিশের গাড়ির কাঁচ। জখম পুলিশ কর্মীদের স্থানীয় নাকরাকোন্দা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করা হয়।
এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয়। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি তাদের। অভিযোগ পাওয়ার ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড এর গঙ্গারামপুর চক এবং কৃষ্ণপুর বড়জোর খোলামুখ, কয়লা প্রকল্প থেকে নিয়মিত কিছু দুষ্কৃতী ও স্থানীয় বাসিন্দারা কয়লা চুরি করে মজুদ রাখে এবং পরে রাতের অন্ধকারে তা বিভিন্ন জায়গাতে পাচার করে। বেশ কিছুদিন ধরে বেআইনি কয়লার কারবারীরা সক্রিয়। যদিও পুলিশের কড়া নজরদারি নিয়মিত চলছে। আর তাতেই প্রায় সময়ই গাড়িসহ বেআইনি বাজেয়াপ্ত হচ্ছে, গ্রেফতার হচ্ছেন দুষ্কৃতীরা। যদিও স্থানীয় এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, বিকল্প কোনও রোজগারের সুযোগ না থাকায় দ্রুত অধিক পরিমাণে টাকা কামানোর জন্য বহু মানুষজন এই বেআইনি, কয়লা চুরির কারবারর সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ছেন।
পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা দেওয়া হলেও বেশি সময় কর্ণপাত করেন না বেআইনি কারবারীরা। আর তা থেকেই বর্তমানে চলছে ধরপাকড়। এদিন ওই গ্রাম থেকে প্রায় ৫০ কুইন্টাল কয়লা দুটি ডাম্পারে করে বাজেয়াপ্ত করে আনছিল লোকপুর থানার পুলিশ। তখনই সম্মিলিত কিছু দুষ্কৃতীদের ইটপাটকেল ছোড়া শুরু হয় তাদের ওপর। পরে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠী বলেন, ‘বেআইনি মজুদ কয়লা উদ্ধার করতে গিয়ে স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতীদের ছড়া ইটপাটকেলে কয়েকজন পুলিশকর্মী সামান্য জখম হয়েছেন কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে’।