পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ এক অপরাধে কেন দু’বার গ্রেফতার, সাকেত নিয়ে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দফতরে হাজিরা দিয়ে এই প্রাথমিক প্রশ্নই তুলে দিল সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস।সোমবার নয়াদিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে গিয়ে দেখা করল তৃণমূলের ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল। তাতে ছিলেন রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন, রাজ্যসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায়, দলের লোকসভার সাংসদ সৌগত রায়, লোকসভায় দলের মুখ্য সচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, লোকসভার সংসদ প্রতিমা মণ্ডল ও রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম বেনজির নুর।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের দফতরে গিয়ে তাঁরা সরাসরি প্রশ্ন ছোঁড়েন, ভোটের সময় নির্বাচন কমিশনের আওতায় থাকা গুজরাত পুলিশ কী ভাবে গ্রেফতার করল সাকেত গোখলেকে? টুইট কোন ইস্যুই নয়।
সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্যই চারদিনের মধ্যে দু’বার গ্রেফতার করা হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে। কারণ সাকেতের টুইট কোন সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ায়নি বা কোনও সম্প্রদায়কে আঘাত করেনি।
তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদীয় প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনারের কাছে প্রশ্ন তুলেছেন, সাকেত গোখলেকে গ্রেফতার করা হলে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা এবং বিজেপি নেতা পরেশ রাওয়ালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নয় কেন?
এদিন জাতীয় নির্বাচন কমিশনার অফিস থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন, সাকেত একজন হার্ট পেশেন্ট। সে সব কথা মাথায় না রেখেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই সময় তো রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নির্বাচন কমিশনের হাতে ছিল। কীভাবে তারপরও এটা হল? একই ঘটনায় দু’বার এফআইআর দায়ের। একবার আমদাবাদে ও দ্বিতীয়বার মোরবিতে। আর তাঁকে যে হয়রানির উদ্দেশ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কমিশনের আওতাধীন পুলিশ কীভাবে এমনটা করতে পারে? এটাই আমরা জানতে চেয়েছি। সাকেতকে গ্রেফতারির সময় বলা হয়েছিল, সেই টুইটটি ধারা ১২৫ উলঙ্ঘন করেছে। কিন্তু আমরা কমিশনকে জানিয়েছি, কখনও’ই সাকেতের টুইটটি ওই ধারা উলঙ্ঘন করেনি। সাকেতকে অন্যায় ভাবে গ্রেফতার করা হলেও, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ও অভিনেতা তথা প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ পরেশ রাওয়ালের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। পরেশ তো আবার বাঙালি বিদ্বেষী মন্তব্য করেছিলেন। নির্বাচন কমিশন আমাদের অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন