ওয়ারশ্য, ৩০ মার্চ: পোল্যান্ডের ফার্মাসিউটিক্যাল আইনের আওতায় ১৫ বছরের ঊৰ্ধ্বে যেকেউ কোনও প্রেসক্রিপশন ছাড়াই গর্ভনিরোধক পিল দোকান থেকে কিনতে পারেন। এবার সেই বিলের সংশোধনীতে ভেটো প্রয়োগ করেছেন স্বয়ং দেশটির প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদা। কিশোর ও শিশুদের হাতে যাতে গর্ভনিরোধক পিল কোনও ভাবে না যায় তা আটকানোর উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। প্রেসিডেন্সিয়াল মন্ত্রী মালগোরজাতা পাপরোকা বলেন, ‘অভিভাবকদের কথা শুনেছেন প্রেসিডেন্ট। শিশুদের সাংবিধানিক অধিকার ও তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথা স্পষ্টভাবে বিশ্বাস করেন প্রেসিডেন্ট।’ তবে প্রেসিডেন্টের প্রয়োগ করা ভেটো পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের তিন-পঞ্চমাংশ এমপিদের ভোটের দ্বারা বাতিল করা যেতে পারে, যার অর্থ ক্ষমতাসীন জোট সমর্থন সংগ্রহ করতে সক্ষম হবে না। এর আগে ইউরোপের মাটিতে সবচেয়ে কঠোর গর্ভপাত আইন চালু করেছিল পোল্যান্ডের ডানপন্থী ‘ল্য অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি’। তবে অক্টোবরের ভোটে তারা ক্ষমতা হারায় ও নতুন সরকার গঠিত হয়। নতুন সরকারও এই আইনটি বদলের বিষয়ে বিভক্ত। ক্ষমতাসীন জোট সরকারের ক্রিস্টিয়ান ডেমোক্র্যাট পার্টি পোলস্কা ২০৫০-এর নেতা ও সংসদ স্পিকার জিমন হলোনিয়া গর্ভপাত নিয়ে সংসদে একটি ভোটাভুটির আয়োজন স্থগিত করেছেন। আরও দুই দল অর্থাৎ নিউ লেফ্ট ও প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্কের সিভিক প্ল্যাটফর্ম গর্ভাবস্থার ১২তম সপ্তাহ পর্যন্ত চাহিদা অনুযায়ী গর্ভপাতকে অগ্রাধিকার দিয়েছে৷ যদিও পলিশ প্রেসিডেন্ট দুদার সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত দেশে গর্ভপাত আইন নিয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সমতা বিষয়ক মন্ত্রী কাতারজিনা কোতুলা বলেন, ‘গর্ভনিরোধক পিল পাওয়া যাবে, তা সে এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট যাই বলুন না কেন, তিনি কুসংস্কারের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কোনও মেডিকেল জ্ঞান ছাড়াই।’
![](https://archived.puberkalom.com/wp-content/uploads/2024/06/WhatsApp-Image-2024-06-03-at-7.46.21-PM.jpeg)
![](https://archived.puberkalom.com/wp-content/uploads/2024/06/WhatsApp-Image-2024-06-03-at-7.46.20-PM-1.jpeg)
![](https://archived.puberkalom.com/wp-content/uploads/2024/06/WhatsApp-Image-2024-06-03-at-7.46.20-PM.jpeg)