আবদুল ওদুদঃ পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর ডিএলও কোর্সে রাজ্যে প্রথম হলেন ডা. কাইয়ুম গোলদার। সেই সুবাদে তাঁর হাতে উঠতে চলেছে গোল্ড মেডেল। রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে তাঁকে এই স্বর্ণ পদক দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। চিকিৎসক কাইয়ুম নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ(ইএনটি সার্জেন)। বর্তমানে দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে কর্তব্যরত তিনি।
১৯৯৭ সালে তিনি কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএম পাশ করেন। ২০১৯-২১ বর্ষে ডিএলও ডিপ্লোমা ইন অটোল্যারিঙ্গোলজি (ডিএলও) কোর্স করেন। আর তাতেই রাজ্যস্তরে প্রথম হন ইএনটি সার্জেন ডা. কাইয়ুম গোলদার। তিনি ১৯৯২ সালে জয়েন্ট উত্তীর্ণ এরপর কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৯৭ সালে এমবিবিএস পাশ করার পর বিভিন্ন জেলায় চাকরি করেছেন। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় মানুষের সেবা করার জন্য কয়েকবছর চাকরি করেছেন। এছাড়াও বীরভূম, নদিয়া উত্তর দিনাজপুরেও কয়েক বছর করে থাকতে হয়েছে চাকরি সূত্রে।
বর্তমানে দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালের ইএনটি সার্জেন হলেও মাঝে মধ্যেই কলকাতায় আসেন। তাঁর এই সাফল্যে অত্যন্ত খুশি চিকিৎসক বন্ধুরা।
ডা. কাইয়ুম জানান, পোস্ট গ্র্যাজুয়েটে এই ডিএলও ডিগ্রির জন্য কয়েকশো চিকিৎসক কোর্স সম্পন্ন করেন। কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে ৮ জন এইকোর্স করেন। বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ থেকেও কয়েক শো চিকিৎসক এই ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। ডিএলও ডিগ্রী হচ্ছে ২ বছরের ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম। শিক্ষার্থীদের বিশেষ জ্ঞান– প্রশিক্ষণ প্রদান এবং নাক– কান এবং গলা বা বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ বোঝার জন্য আপেক্ষিক জ্ঞান প্রদান করা হয়। এছাড়াও নাক– কান– গলার বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রণা বোঝার বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হয় বলে ডা. কাইয়ুম জানান।
ডিএলও কোর্সের মূলত লক্ষ্য ইএনটি ডাক্তার, চিকিৎসাকর্মী, ইএনটি সার্জেন ক্লিনিকাল সহকারির পেশা তৈরিতে সহায়তা করে।
ডিএলও তে ভর্তি হতে পারে মেধার ভিত্তিতে। সর্বভারতীয় পিজি নিট পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা এই কোর্স করার সুযোগ পাই। কোর্স করার জন্য কোনও বয়সসীমা নেই।
উল্লেখ্য, ডা. কাইয়ুম-এর গ্রামের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগণার মালঞ্চ মিনাখায়। প্রাথমিক পড়াশুনা গ্রামের স্কুলেই। পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে তাঁকে এই ডিগ্রী এবং গোল্ড মেডেল প্রদান করা হবে বলে জানান তিনি।