পুবের কলম প্রতিবেদক: মানসিক সমস্যার চিকিৎসার জন্য রাজ্যের প্রথম সারির হাসপাতাল পাভলভে অব্যবস্থার অভিযোগ। আর তাই সেই সেখানকার সুপারকে শোকজ করল স্বাস্থ্য দফতর। অভিযোগ, কলকাতা পাভলভ হাসপাতালে রোগীদের জন্য ডায়েট চার্ট নেই। শুধু তাই নয়, সেখানে ডায়েট কমিটিরও অস্তিত্ব নেই। নেই মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও মনোবিদদের কাজের কোনও পরিবেশ। হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও অন্তর্বিভাগে নিয়মিত রাউন্ডের অভাব রয়েছে। হাসপাতালের সুপার,ডেপুটি সুপার, নার্সিং ইনচার্জ বা ফেসিলিটি ম্যানেজারের মতো আধিকারিকরা রাউন্ডে আসেন না। ইন্টার্নদের দিয়েই কাজ চালানোর মতো অভিযোগ উঠেছে।
জানা গিয়েছে, গত এপ্রিল ও মে মাসে দু’দফায় পাভলভ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্যভবনের এক পরিদর্শক দল। তারপর সেই পরিদর্শনকারী দলের তরফে দফতরে রিপোর্ট জমা করা হয় স্বাস্থ্যভবনে। জানা গিয়েছে, পরিদর্শনকারী দলের সেই রিপোর্টে একাধিক অব্যবস্থার অভিযোগ তোলা হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পাভলভ হাসপাতালের সুপার গণেশ প্রসাদকে শোকজ করল স্বাস্থ্য দফতর।
সূত্রের খবর, ™রিদর্শনকারী দলের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে মানসিক চিকিৎসার হাসপাতাল পাভলভে মহিলা আবসিকদের দু’টি ঘরে ১৩ জনকে রাখা হয়েছে। অন্ধকার, স্যাঁতসেঁতে ঘরের যেখানে সেখানে নোংরা জিনিসপত্র, ভাঙা লোহার টুকরো ইত্যাদি পড়ে রয়েছে। সেখানকার একাধিক আবাসিকের দেহে রয়েছে ঘা ও ক্ষতচিহ্ন। সুপার বা নার্সরা আবাসিকদের দিকে নজর দেন না বলেও অভিযোগ উঠেছে। খাবারের গুণমাণ মান ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়েও নানান অভিযোগ রয়েছে।
এ নিয়ে পাভলভ হাসপাতালের সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। তবে শনিবার হাফ-ডে ছিল তাই তিনি আড়াইটার দিকে বেরিয়ে গিয়েছেন বলে জানান হাসপাতালের এক কর্মী। ফোনেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
অনেকেই অভিযোগ করছেন, রাজ্য সরকার স্বাস্থ্যখাতে বিপুল খরচ করছে কিন্তু কিছু মানুষ নিজেদের স্বার্থে কাজ করছে। তাই স্বাস্থ্যভবনের কড়া মনোভাবে খুশি সেখানকার রোগীর পরিজনরা।